গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে আয়োজিত হলো টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অফ বাংলাদেশ ট্রাব এর নতুন ধারা কোম্পানির সৌজন্যে বিজনেস ও কালচারাল অ্যাওয়ার্ড ২০২৪।
আশির দশক থেকে এ পর্যন্ত সর্বসময়ে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ, গীতিকার, সুরকার, গায়ক ও মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে আশরাফ বাবুর হাতে তুলে দেওয়া হয় ড্রাগ অ্যাওয়ার্ড।
এবার টিচার হাত দিয়ে প্রদান করা হয় তিনি এদেশের স্বনামধন্য দেশ বরেণ্য সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং মেডেল পরিয়ে দিলেন বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজি। সময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন গণকণ্ঠ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সালাম মাহমুদ, সার্ক জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সাংবাদিক রেদওয়ান, পারটিক্স গ্রুপের কর্ণধার জনাব রাসেল সহ সম্মানিতব্যক্তি বর্গ। বাংলাদেশ সহ প্রবাসী বাঙ্গালীদের মুখে ৩৬ বছর আগের একটি গান এখনো সবার মুখে মুখে, এই গানটি হল শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হল আকাশে। গানটি আশির দশকের ব্যান্ড ডিফারেন্টে টাচ এর জন্য কথা ও সুরে রচিত হয়েছিল। যার জন্য গানটি রচিত হয়েছিল তিনি ডিফারেন্ট অফ ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ছিলেন। তার নাম আলী আহমেদ বাবু বর্তমানে তিনি কানাডা প্রবাসী।
ব্যান্ড ডিফারেন্টটাচ এর প্রথম এলবামে আশরাফ বাবুর লেখা সুরে আরও তিনটি গান ছিল যেগুলি শ্রোতাদের আজও মুখে মুখে, গানগুলি ছিল দৃষ্টি প্রদীপ দিলে খুঁজেছি তোমায়, স্বর্ণলতা এবং হাল জামানার রাজনীতি। এই গুণী গীতিকার সুরকার এর কাছ থেকে জানা গেল, ডিফারেন্ট টাচ ব্যান্ড যখন আশি ও ৯০ দশকে তুঙ্গে, অজানা কারণে ফাটল ধরে ডিফারেন্ট টাচ ব্যান্ডের দুই গায়কের মাঝে। শ্রাবনের মেঘগুলো গানটির গায়ক আলিআহমেদ বাবু ১৯৯১ সালে ডিফারেন্ট টাচ ব্যান্ড থেকে বের হয়ে গায়ক পলাশ আশরাফ বাবুকে নিয়ে গঠন করেন ব্যান্ড অরবিট। এবং অরবিট নামে ১২ টি গানের একটি একটি ক্যাসেট, ইলেক্ট্রো ভয়েজ কোম্পানির ব্যানারে মুক্তি দেন। অরবিট এলবামের বারোটি গানই আশরা বাবুর কথা সুর মিউজিক ডিরেকশনে রচিত হয়।
ব্যান্ডের উল্লেখযোগ্য গানগুলি ছিল শাড়িরে , ওই এলোরে বান, পাপের স্রোতে, সুখেরই প্লাবনে, আনমনা।। আশরাফ বাবু বলেন শ্রাবনের মেঘগুলো জড়ো হল বয়স ৩৬ বছরের বেশি, এই প্রথম আমাকে এই গানের সৃষ্টির জন্য কোন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হলো। বলতে লজ্জা নাই বিগত বছরগুলোতে কোন অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নাই,অ্যাওয়ার্ড পাওয়া তো দূরের কথা। তাই TRUB আওয়ার্ডের আয়োজক বিশিষ্ট সাংবাদিক সালাম মাহমুদ ও রেদওয়ান এর মনোনয়নে আমি কৃতজ্ঞ। এই পুরস্কারটি আমার কাছে জাতীয় পুরস্কারের চেয়ে কম নয়।
আশরাফ বাবুর কাছে জানা গেল তার গানের ভান্ডারে আরো কিছু লেখা সুরের গান মানুষের মুখে মুখে, তার লেখা সুরে শ্রোতা প্রিয় গানগুলোর মধ্যে কুমার বিশ্বজিতের বসন্ত ছুয়েছে আমাকে, এক পশলা বৃষ্টি, যদি হই বন্দী আমি, বেবী নাজনীনের বন্ধু তুমি কই কই রে , ক্লোজআপ ওয়ান নিশিতা বড়ুয়ার রংধনু ভালো লাগে , আইয়ুব বাচ্চুর কোন অভিযোগ নেই যে আমার , জেমসের গ্রীন রুমের বাতি,ব্যান্ড সোলস ও ফিডব্যাক এর বেশ কিছু গান, পপ সম্রাট আজম খানের পঞ্চাশের অধিক গান, পঙ্কজ উদাস, রুনা লায়লা, রিজিয়া পারভীন সহ বেশ কিছু গুণী শিল্পীদের গান। বাংলাদেশের প্রথম র্যাপ গানের প্রবর্তক আশরাফ বাবু।
১৯৯৩ সালের ত্রি রত্নের খ্যাপা RAP গানের অ্যালবামটি সমস্ত বাংলাদেশের সংগীত পিপাসুদের কাছে সমসাময়িক কথার গানে নতুন ট্রেন্ডের আবির্ভাব ঘটিয়েছিল।। এই গুণী শিল্পীর বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে জানতে চাইলে উত্তরে বলেন, প্রথম থেকে গানের সাথেই ছিলাম গানের সাথেই থাকব আর এই পুরস্কারটি নতুন কিছু করবার উৎসাহ যুগিয়েছে , চেষ্টা করে যাবো ইনশাল্লাহ।