ই-পেপার রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১১

বিদেশে প্রায় সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথিতে এই তথ্য জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করার পরই এই বিদেশি সহযোগিতা বন্ধের বিষয়টি সামনে আসে।

ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যেসব বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা খতিয়েও দেখা হচ্ছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নোটিশে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই স্থগিতাদেশ জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিশরের জন্য সামরিক তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

নথি অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ‘পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নতুন তহবিল অনুমোদিত হবে না বা বিদ্যমান কোনো চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না’। একইসঙ্গে চলমান প্রকল্পের কাজও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না পর্যালোচনা শেষ হয়।

কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পর্যালোচনার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট চুক্তির শর্তানুযায়ী কর্মকর্তারা যেন অনতিবিলম্বে 'কাজ বন্ধের নির্দেশনা জারি করেন'।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের নথি অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন পররাষ্ট্রনীতি নিশ্চিত করতে সব বিদেশি সাহায্যের বিস্তারিত পর্যালোচনা আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই পর্যালোচনা ৮৫ দিনের মধ্যে শেষ হবে এবং তা নিশ্চিত করবে যে সব সাহায্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করছে।

তিনি আরও বলেছেন, ‘বিদেশে আমাদের ব্যয় শুধু তখনই হওয়া উচিত, যদি তা আমেরিকাকে নিরাপদ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই নোটিশ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বিদেশি সাহায্য কর্মসূচির ওপর অনেক বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ার কথাটি একবার ভাবুন। এটি অনেক বড় একটি বিষয়।’ বলছিলেন জশ পল। যিনি ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত অস্ত্র সরবরাহে কংগ্রেসের সম্পর্ক দেখভাল করতেন।

মধ্যপ্রাচ্যে ইউএসএইড মিশনের সাবেক পরিচালক ডেভ হার্ডেন বলেন, এই পদক্ষেপ ‘অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’, যা বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে মানবিক এবং উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচিগুলোকে স্থগিত করে দিতে পারে।

তিনি জানান, বিদেশি সহায়তা বন্ধের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পানীয় জল, স্যানিটেশন এবং আশ্রয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পে পড়তে পারে।

‘এটি শুধু সাহায্য স্থগিতই নয়, বরং ইতোমধ্যে দেশটির অর্থায়নে চলমান চুক্তিগুলোর কাজ বন্ধেরও নির্দেশ প্রদান করে।’- যোগ করেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই অর্থায়ন স্থগিতের প্রভাব ইউক্রেনেও পড়তে পারে। যেখানে আগে থেকে প্রচুর অস্ত্র সহযোগিতা দেয়া হয়েছিল। সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময়ে ইউক্রেন অস্ত্র সহায়তায় বড় অংকের সহযোগিতা পেয়েছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও স্বাক্ষরিত নথিতে সহায়তা স্থগিতের পক্ষে যুক্তি বলা হয়েছে, 'বর্তমান বিদেশি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি ‘কার্যকর কিনা, পুনরাবৃত্তিমূলক কি না এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা মূল্যায়ন করা অসম্ভব।’

তবে জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য তিনি ছাড়পত্র জারি দিয়েছেন। অর্থাৎ গাজা ও অন্যান্য যে সব জায়গায় খাদ্য সংকট চলছে সেখানে জরুরি খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপটি এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অস্ত্রবিরতির পর মানবিক সাহায্য বৃদ্ধি পেয়েছে ও সুদানের মতো বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের ঘটনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্যের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগও করা হয়েছিল।

মার্কিন সরকারের নীতিতে নিজের প্রভাব রাখতে প্রেসিডেন্টদের মূল হাতিয়ার এক্সিকিউটিভ অর্ডার বা নির্বাহী আদেশ। ক্ষমতা নেয়ার পর সেই হাতিয়ার ব্যবহারে এক মুহূর্তও দেরি করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরুতেই একশোর বেশি নির্বাহী আদেশে সই করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

নির্বাহী আদেশ কী ও কেন?

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাহী আদেশের ঝড় তুলবেন বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার আক্ষরিক বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন দেশটির ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট।

এক কথায় এক্সিকিউটিভ অর্ডার হলো যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া একটি লিখিত আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না।

অর্থাৎ, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জারি করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ বলে প্রেসিডেন্ট এই আদেশ জারি করার ক্ষমতা পান।

ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা একজন প্রেসিডেন্টের ওপর অর্পিত হবে।’

নির্বাহী আদেশের বদৌলতে সাধারণ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন নীতি নাটকীয়ভাবে পুরোপুরি উল্টে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে।

এই যেমন সোমবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এর ফলে জলবায়ু সংক্রান্ত আগের মার্কিন নীতির উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন তিনি।

এর আগে ২০১৭ সালে বিতর্কিত দুটি তেল পাইপলাইনের নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। যা পূর্বসূরী ওবামা প্রেসিডেন্সির নীতিগত অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। ওবামা আমলে ২০১৫ সালে ক্রিসমাস ইভে (বড়দিনের আগের সন্ধ্যা) সরকারি দপ্তরগুলো আধাবেলায় ছুটি দেয়ার মতো সাধারণ সিদ্ধান্তও নির্বাহী আদেশে পাল্টে দেয়ার নজির আছে ট্রাম্পের। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

আমার বার্তা/জেএইচ

হাসিনা ভারতে থাকবেন কিনা তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: জয়শঙ্কর

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লিতে অবস্থান করা

জাতিসংঘের ২৭৯৭ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে স্পেন,নাইজার এবং সোমালিয়া

স্পেন বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেছে যে মরক্কোর সার্বভৌমত্বের অধীনে উক্ত অঞ্চলে প্রকৃত স্বায়ত্তশাসনই সবচেয়ে সম্ভাব্য

ইন্দোনেশিয়া-শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছুঁইছুঁই

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় এশিয়ার তিন দেশ ইন্দোনেশিয়া-শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার

আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে নিহত ৪

সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আফগান কর্মকর্তারা। শুক্রবার
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওরা নির্বাচনকে পেছানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে: রেজাউল করীম

আমিরুলের চতুর্থ হ্যাটট্রিকে বিশ্বকাপে কোরিয়াকে হারাল বাংলাদেশ

আসন সমঝোতায় নয়, জোট হবে ন্যায্যতার বিচারে: নুরুল হক নূর

বাংলাদেশে আমরা ভিন্নমতকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই: ফাওজুল কবির

গজারিয়ায় ধানের শীষ মনোনীত প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে জনতার ঢল

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

বলাকা কমিউটারের ইঞ্জিন বিকল, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ

ফ্যাসিস্টরা পালালেও ফ্যাসিজমের কালো ছায়া কাটেনি: জামায়াত আমির

জলবায়ু পরিবর্তনে নারীর উদ্ভাবনী উদ্যোগেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পরিবার-অর্থনীতি

জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় নারী উদ্যোক্তাদের অতিরিক্ত অর্থায়ন প্রয়োজন

একটি দল বুঝে গেছে নির্বাচনে জনগণ তাদের লালকার্ড দেখাবে

বাণিজ্যিক আদালত শিগগিরই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে: চট্টগ্রামে প্রধান বিচারপতি

সিএমপির ১৬ থানার ওসি রদবদল

বিএনপি সবসময়ই ‘পলিটিক্স অফ কমিটমেন্টে’ বিশ্বাসী: রিজভী

কিন্ডারগার্টেনের জন্য সরকারি নীতিমালার আশ্বাস আমিনুল হকের

খালেদা জিয়াকে নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান ডা. জাহিদের

মালয়েশিয়ায় বেড়ে চলেছে ডিজিটাল ই-ওয়ালেটের ব্যবহার

চিকিৎসকের অনুমতি পেলেই বিদেশে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে

রংপুরে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধ না হলে অবরোধের ‍হুঁশিয়ারি

কড়াইলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আনসার-ভিডিপির সেবা অভিযান শেষ