ই-পেপার বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

ডোনাল্ড ট্রাম্প কি শেষ পর্যন্ত গাজা দখলে নিতে পারবেন?

আমার বার্তা অনলাইন
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০১
আপডেট  : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাকে ‘দখল’ করে ‘নিজস্বভাবে পরিচালনার’ একটি বিতর্কিত প্রস্তাব দিয়েছেন। তার এই পরিকল্পনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। প্রতিবাদ জানিয়েছে সৌদি আরব, চীন, রাশিয়া, স্পেনসহ বিশ্বের বহু দেশ ও সংগঠন। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্প কি শেষ পর্যন্ত গাজা দখলে নিতে পারবেন? ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলে তার এই পরিকল্পনা কতটা বাস্তবসম্মত?

ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য

গত ৪ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, আমরা গাজা দখল করবো এবং একে নতুনভাবে গড়ে তুলবো। আমরা সেখানে অবিস্ফোরিত বোমা ও অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করবো এবং দীর্ঘমেয়াদে এর নিয়ন্ত্রণ নেবো। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে গাজায় মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। গাজার জনগণকে উচ্ছেদ করে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা জোরপূর্বক দখল হিসেবে গণ্য হবে, যা জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।

ইসরায়েলি হামলায় গাজা এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ১৫ মাসের সংঘাতের পর গাজার দুই-তৃতীয়াংশ অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত। সেখান থেকে অনেক ফিলিস্তিনি হয়তো পালিয়ে যেতে চাইতে পারেন, তবে অনেকেই আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে বা ঐতিহাসিক সংযুক্তির কারণে গাজা ছাড়তে চান না।

গাজার অধিকাংশ বাসিন্দা ১৯৪৮ সালের ‘নাকবা’ বা মহাবিপর্যয়ের সময় বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের বংশধর, যারা ইসরায়েলের সৃষ্টি ও দখলদারত্বের শিকার হয়েছিলেন। ফলে তাদের জন্য আরেক দফা উচ্ছেদ মেনে নেওয়া কঠিন হবে।

ট্রাম্পের মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি মূলত ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরে যেতে উৎসাহিত করছেন। তবে জোরপূর্বক উচ্ছেদ বা গণ-নির্বাসন আন্তর্জাতিক অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।

ট্রাম্প গাজা দখল করতে পারবেন কি?

গাজার ওপর মার্কিন দখল প্রতিষ্ঠার কোনো বৈধতা নেই এবং এটি বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব। এক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হবে ট্রাম্পকে-

১. আন্তর্জাতিক আইন: গাজা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। জাতিসংঘের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সদস্য দেশ গাজাকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যুক্তরাষ্ট্র এখনো এটি স্বীকৃতি না দিলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ছাড়া মার্কিন দখল সম্ভব নয়।

২. মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ: গাজায় মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হলে সেটি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের সূত্রপাত করবে, যা ট্রাম্পের ঘোষিত ‘নো ওয়ার’ নীতির পরিপন্থি। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সামরিক আগ্রাসন এড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাই তার এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশঙ্কা কম।

৩. আরব দেশগুলোর বিরোধিতা: ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার ১৮ লাখ শরণার্থীকে মিশর ও জর্ডানে পুনর্বাসন করা হবে। তবে দুই দেশই এ পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে। আরব বিশ্বে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণের উচ্ছেদ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করতে পারে।

৪. ইসরায়েলের নীতি: ইসরায়েল গাজাকে এককভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলেও তারা সরাসরি মার্কিন শাসনকে মেনে নেবে কি না তা স্পষ্ট নয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এরই মধ্যে গাজার প্রশাসনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (প্যালেস্টাইনিয়ান অথোরিটি) কোনো ভূমিকা থাকুক, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গাজার ভবিষ্যৎ কী?

গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী প্রশাসনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা আলোচনায় আছে:

- হামাস ও ফাতাহ যৌথ প্রশাসন গঠনের বিষয়ে আলোচনা করছে।

- আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে আরব দেশগুলোর সেনা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

- সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি সাময়িক প্রশাসন গঠনের পরিকল্পনা আলোচনায় রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

দিল্লির হোটেলে ব্রিটিশ নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার দুই

ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি হোটেলে ব্রিটেনের এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী

ইসরাইলি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন পাকিস্তানি স্থপতি ইয়াসমিন

গাজায় নৃশংসতার দায়ে এ বছরের উলফ পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পাকিস্তানি স্থপতি

পুতিন কি সত্যিই যুদ্ধ বন্ধে রাজি হবেন?

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১১

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তিন শতাধিক জিম্মি মুক্ত, ৩৩ হামলাকারীসহ নিহত ৫৮

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে জঙ্গিদের দখলে থাকা একটি যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে তিন শতাধিক জিম্মিকে মুক্ত করা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে মতামত দেবে বিএনপি

মাগুরার নোমানী ময়দানে সেই শিশুর জানাজা অনুষ্ঠিত

২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের পথ দেখাল প্রজ্ঞা

১৫ জুলাই হামলা ছিল পরিকল্পিত, ঢাবির ১২২ জন শনাক্ত

সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে দ্রুত জনবল নিয়োগের নির্দেশ

সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের গণমাধ্যম

গাম্বিয়া যেতে আর ভিসা লাগবে না সরকারি পাসপোর্টধারীদের

ধর্ষণ ও নির্যাতনকারীদের জনসম্মুখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি

দিল্লির হোটেলে ব্রিটিশ নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার দুই

বেঁচে থাকলে আর কখনো একা ছাড়তাম না: মাগুরার সেই শিশুর মা

সিঙ্গাইরে নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছে সড়কের কাজ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত দুই

২০২৬ সালেই এলডিসি থেকে উত্তরণ, উপদেষ্টা পরিষদে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট কার্যকরের পরিকল্পনা সরকারের

সিরাজগঞ্জে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং

সব প্রাণের নিরাপত্তা বিধান করতে হলে নদী রক্ষা করতে হবে

স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মাগুরার শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি মির্জা ফখরুলের

বাংলাদেশকে ১০৮ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া