ই-পেপার রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২

আদালতের রায়ে ক্ষমতা ফিরে পেলেন দ. কোরিয়ার অভিশংসিত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

আমার বার্তা অনলাইন
২৪ মার্চ ২০২৫, ১১:০০

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু তার হারানো পদ ফিরে পেয়েছেন আদালতের রায়ে।

গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সংসদে আইনপ্রণেতাদের ভোটে অভিশংসিত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর একই পরিণতি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সুরও। খবর রয়টার্সের।

বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (২৪ মার্চ) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুর ক্ষমতা পুনর্বহাল করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল অভিশংসিত হওয়ার ফলে গত ১৪ ডিসেম্বর দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ৭৫ বয়সী এ নেতা। কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় তাকেও অভিশংসিত করেন আইনপ্রণেতারা।

তবে, আদালতের আদেশের পর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন হান ডাক-সু। দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক অস্থির রাজনীতিতে অনেক বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে এটিকে।

আদালতের রায়ের পর হান বলেন, সাংবিধানিক আদালতের বিজ্ঞ সিদ্ধান্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি বরখাস্ত থাকাকালীন কঠোর পরিশ্রমের এ সময়ে মন্ত্রিসভার সদস্যরা যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছে, সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্তব্যে হান বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত ও বাস্তবায়নের জন্য একসাথে কাজ করব এবং ভূ-রাজনৈতিক রূপান্তরের যুগে দক্ষিণ কোরিয়া যাতে ভালোভাবে বিকশিত হতে থাকে তা নিশ্চিত করব।

মূলত, ২০২২ সালের মে মাস থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন হান ডাক-সু। আর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসনের পর গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে এর দুই সপ্তাহের মাথায় তিনি নিজেও অভিশংসিত হন এবং সেই পদক্ষেপ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির চলমান সংবিধানিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসিত করার পর প্রধানমন্ত্রী হান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। মূলত দেশটিতে সেসময় যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল হানের।

কিন্তু বিরোধী এমপিরা অভিযোগ করেছিলেন, তিনি ইউনের অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার দাবি প্রত্যাখ্যান করছেন। এরপর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশটির পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলার মধ্যেই তাকে অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সেই ভোটাভুটিতে মোট ১৯২ জন আইনপ্রণেতা তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

রয়টার্স বলছে, ইউনের সামরিক আইন ঘোষণা এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দেয় এবং বিভিন্ন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিশংসন, পদত্যাগ এবং ফৌজদারি অভিযোগের মধ্যে দেশটিতে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি করে।

সোমবার আদালতের বিচারপতিরা সাত-এক ভোটে হানের অভিশংসন বাতিল করার রায় দিয়েছেন। আট বিচারপতির মধ্যে পাঁচজন বলেছেন, অভিশংসন প্রস্তাব বৈধ, কিন্তু আদালতের বিবৃতি অনুসারে, হানকে অভিশংসন করার মতো পর্যাপ্ত কারণ ছিল না। তিনি সংবিধান বা আইন লঙ্ঘন করেননি।

আর দুই বিচারপতি রায় দিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হানের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব শুরু থেকেই অবৈধ ছিল। কারণ সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতা এটি পাস করেননি।

আমার বার্তা/জেএইচ

মরক্কো সমাধান খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে কোনও বিজয়ী বা পরাজিত নেই

"আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রশ্নে ইতিবাচক অগ্রগতি সত্ত্বেও, মরক্কো এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করার জন্য

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করবে না ইরান: আরাগচি

যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের চাপের মুখে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করবে না ইরান। সেই সঙ্গে

ক্যারিবীয় সাগরে মাদকবাহী নৌকায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী একটি নৌকায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সুবিধা ঘোষণা করলো আমিরাত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) গোল্ডেন ভিসাধারীরা এখন পাচ্ছেন আরও উন্নত ও নিরাপদ ভ্রমণসহ জরুরি সহায়তা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পরিবেশকে প্রভাবমুক্ত রেখে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির আহ্বান

আমরা এক পয়সার দুর্নীতি করতে দিব না: আখতার

দেশীয় কর্মসংস্থান ও হুন্ডি বন্ধে এয়ারলাইন্স জিএসএ নিয়োগ আইন বহাল দাবি

ঢাকায় আলজেরিয়া দূতাবাসের স্বাধীনতা বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন

গণ অধিকার পরিষদের ইবতেদায়ি শিক্ষকদের পাশে থাকার আশ্বাস

দোষী বা নির্দোষের বাইরে ইনুর বক্তব্য আমলে নেয়ার সুযোগ নেই: চিফ প্রসিকিউটর

ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলো ২৬ টাকা

মেডিকেল ভর্তিতে জিপিএ কমলেও ‘শর্তে’ কপাল পুড়ছে ভর্তিচ্ছুদের

পুলিশি বাধার মুখে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের লংমার্চ

দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি

পঞ্চগড়ে স্বাস্থ্য সহায়তা তহবিলে ১০ লাখ দিল জামায়াত ইসলামী

মরক্কো সমাধান খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে কোনও বিজয়ী বা পরাজিত নেই

বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে: মির্জা ফখরুল

স্নাতকোত্তরে অনাগ্রহ বাড়ছে কুবি শিক্ষার্থীদের

ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখে লংমার্চ শুরু

সরাইলে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসুচি বাস্তবায়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন তারেক রহমান: ফখরুল

ফের জামায়াত আমির নির্বাচিত হলেন শফিকুর রহমান

ড. ইউনূসকেই জুলাই সনদ আদেশ জারি করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত