ইন্টারনেট দুনিয়ায় জালিয়াতি বেড়েই চলেছে। কম্পিউটার ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন। প্রতারকরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।
অনলাইন প্রতারনার একটি ক্লিক ফ্রড। ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনে ক্লিক বাড়ানোর জন্য বট বা ক্লিক ফার্ম ব্যবহার করে প্রতারকরা। বিজ্ঞাপনদাতারা যদি প্রতি ক্লিকের জন্য টাকা দেয় তাহলে প্রতারকরা তাদের সাইটে ট্র্যাফিক বাড়িয়ে দেয়।
ডিজিটাল যুগে ক্লিক মানে টাকা। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা বিজ্ঞাপনে যত বেশি ক্লিক হবে, তত রোজগার। ইদানীং সাইবার অপরাধীরা এটাকে কাজে লাগিয়েই জালিয়াতি করছে। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্লিক ফ্রড’। সাধারণ ইউজার তো বটেই, এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বড় কোম্পানিগুলোও।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে আপনার নামে কেউ ফেক অ্যাকাউন্ট খুললে কী করবেন?
ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনে ক্লিক বাড়ানোর জন্য বট বা ক্লিক ফার্ম ব্যবহার করে প্রতারকরা। বিজ্ঞাপনদাতারা যদি প্রতি ক্লিকের জন্য টাকা দেয় তাহলে প্রতারকরা তাদের সাইটে ট্র্যাফিক বাড়িয়ে দেয়। এখন ধরা যাক, কোনও ব্যবসায়ী একাধিক ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিলেন। প্রতি ক্লিক পিছু তিনি টাকা দেবেন। এই সময় আসরে নামে সাইবার অপরাধীরা। তারা ক্লিকের বন্যা বইয়ে দেয়। টাকা দিতে দিতে ব্যবসায়ী ফতুর।
সোজা কথায়, বিজ্ঞাপনের খরচ এতটাই বাড়িয়ে দাও যাতে প্রতিযোগিরা ব্যবসা করতেই না পারে। আরেক রকম ভাবেও এরা কাজ করে। সেটা হল ক্ষতিকারক লিংকের সঙ্গে জাল ওয়েবসাইট তৈরি। যাতে ইউজারের কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হয়ে যায়।
ক্লিক ফ্রড থেকে বাঁচার উপায়: ক্লিক ফ্রড থেকে বাঁচতে অনলাইন টুল রয়েছে। এগুলো ফ্রড ক্লিক শনাক্ত করে ব্লক করে দেয়। পাশাপাশি ক্লিক প্যাটার্নও বিশ্লেষণ করতে পারে এই টুলগুলো। সেটা হল, বিজ্ঞাপনদাতা চাইলে নির্দিষ্ট কিছু আইপি অ্যাড্রেস ব্লক করে দিতে পারেন। অর্থাৎ তারা বিজ্ঞাপন দেখতে পাবে না। গুগল বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ইউজারকে এই বিশেষ সুবিধা দেয়।
ট্র্যাকিং কনভার্সনের মাধ্যমেও বৈধ ক্লিক এবং ফ্রড ক্লিকের পার্থক্য করা যায়। প্রতিটা ক্লিকের তুল্যমূল্য বিচার করে এই টুল। ফলে অসঙ্গতি সহজেই ধরা পড়ে যায়। ক্রমাগত বিজ্ঞাপনের মেট্রিক্স পর্যালোচনা করে যেতে হয়। এভাবেও ক্লিক ফ্রড ধরা যায় সহজেই। তবে এই পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ।
বট ফিল্টার করতে ল্যান্ডিং পেজে ক্যাপচা ব্যবহার করা যায়। তাহলে প্রকৃত ইউজাররাই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে পারবে।
ক্লিক ফ্রড সম্পর্কে সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দৈনন্দিন জীবনেও এর প্রভাব পড়ছে। অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সফটওয়্যার আপডেট করাও গুরুত্বপূর্ণ।
আমার বার্তা/জেএইচ