সৌন্দর্য সচেতনরা ত্বকের যত্নে রেটিনল সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করেন। এটি ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও টানটান থাকে। তবে অনেকেই জানেন না যে রেটিনল বেশ শক্তিশালী এবং যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে এর প্রতিকূল প্রভাব আপনার ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে। যদি রূপ রুটিনে রেটিনল যোগ করতে চান, তবে ব্যবহারের আগে কিছু তথ্য জেনে নিন ।
ত্বকের পুনর্জন্মে সাহায্য করে রেটিনল। এটি ভিটামিন এ থেকে উৎপন্ন একটি উপাদান। ১৯৭১ সালে প্রথম চালু হওয়া রেটিনয়েড পরিবারের অন্তর্ভুক্ত রেটিনল। ব্রণ, বলিরেখা এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে ব্যবহৃত হয় এটি। কিছু ক্যানসার এবং সোরিয়াসিস সমস্যার জন্যও ব্যবহৃত হয়। গবেষকরা ব্রণের চিকিৎসার জন্য এটি তৈরি করেছিলেন, কিন্তু পরে আবিষ্কার করেন যে এটি কোষের পুনরুত্থান এবং মুখের রঞ্জকতা বৃদ্ধি করতে পারে।
রেটিনল একটি শক্তিশালী উপাদান। এটি আমাদের ত্বকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে কাজ করে। ত্বকের পুনর্জন্ম থেকে শুরু করে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করা, ব্রণ কমাযনো এবং ত্বকে কোলাজেনের একটি অংশ বাড়াযতে কার্যকর রেটিনল। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে এবং ত্বকের মৌলিক ক্ষতির সমস্যা দূর করে। এতে বার্ধক্যের লক্ষণ কমে। সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করলে রেটিনল মৃত ত্বকের কোষ, নিস্তেজ ত্বক এবং বন্ধ ছিদ্রগুলোও পরিষ্কার করে।
রেটিনলের ব্যবহার ন্যূনতম করা উচিত, কারণ এক ফোঁটা যেমন আপনার ত্বক তৈরি করতে পারে আবার ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। তাই ভারসাম্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ব্যবহার করলে রেটিনল ত্বকের জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে। কারণ এই ফর্মুলেশনটি মানুষের ত্বকের জন্য খুব শক্তিশালী। খুব সামান্য পরিমাণ দিয়ে এর ব্যবহার শুরু করুন এবং সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করুন। ত্বকের সাথে মানিয়ে গেলে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো দেখতে পেলে পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
এক্সফোলিয়েশনের জন্য কখনও রেটিনলের মতো প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বক জ্বালাপোড়া করতে পারে। যদি সংবেদনশীল ত্বক থাকে তাহলে রেটিনল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। রেটিনল মুখে লাগানোর আগে অল্প পরিমাণে নিয়ে প্যাচ টেস্ট করবেন। উপাদানটি ব্যবহার করার সময় সাধারণত ছোটখাট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। হালকা জ্বালা এবং শুষ্কতা সাধারণ লক্ষণ, তবে যদি ত্বক অতিরিক্ত লালচে হয়ে যায় বা জ্বালাপোড়া করে, তাহলে এটি ব্যবহার করবেন না।
রেটিনল সূর্যের আলোর সংস্পর্শে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। তাই সকালে এটি ব্যবহার করবেন না। শুধুমাত্র রাতে ব্যবহার করুন। অনেকেই রেটিনল ব্যবহার করে আর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন না। এতে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। ময়েচারাইজার বাদ দেওয়া চলবে না। প্রথমে ময়েশ্চারাইজ করুন, তারপর রেটিনল লাগান।
আমার বার্তা/এল/এমই