রাজনৈতিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। কুয়েত সিটিতে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা জোরদারকরণ এবং সীমান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে সোমবার (৪ নভেম্বর) তিনি একথা বলেন। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে তার ভাষণে উপদেষ্টা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন, যা বিশ্ব নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং জাতিসংঘের কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যের প্রতি দেশের অঙ্গীকারকে নির্দেশ করে।
তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্বের উপর জোর দেন, রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার হওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সতর্ক করেন এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশের চলমান সংস্কারের কথা তুলে ধরেন।
নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দায়িত্বশীল ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন যে এআইকে অবশ্যই মানবাধিকারকে সম্মান করতে হবে এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটে তৈরি করতে হবে। তিনি উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলোকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বহুপাক্ষিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন যে, প্রকৃত নিরাপত্তা তখনই অর্জন করা যায় যখন প্রতিটি সমাজ সুরক্ষিত থাকে। তিনি বলেন, "আজকের আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে, প্রতিটি সমাজ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সমাজই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ নয়।
এই উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন দুশানবে প্রক্রিয়ার চতুর্থ পুনরাবৃত্তি চিহ্নিত করে, যা মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য ২০১৮ সালে চালু করা একটি উদ্যোগ। এই সম্মেলনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রথমবারের মতো মধ্য এশিয়ার বাইরে দুশানবে (তাজিকিস্তানের রাজধানী শহর দুশানবে) প্রক্রিয়ার সুযোগ এবং প্রভাবকে বিস্তৃত করে, যা জাতিসংঘের গ্লোবাল কাউন্টার-টেরোরিজম স্ট্র্যাটেজির বাস্তবায়নকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আমার বার্তা/এমই