সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশে তিন হাজার অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের বেশিরভাগই ভুয়া দাবি করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, নীতিমালায় পরিবর্তন এনে নতুন করে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু হবে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এই কথা জানান নাহিদ ইসলাম। নাহিদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনাদের মধ্যে যাতে ভুল ধারণা তৈরি না হয় অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বা সচিবালয়ে প্রবেশ নিয়ে। আমাদের যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার আজকে শেষ দিন। আজকে পর্যন্ত আমরা কাউকে অ্যালাউ করছি না সচিবালয়ে প্রবেশ করার জন্য। সেজন্য আজকে আপনারা প্রবেশ করতে পারছেন না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। সামনের দিনগুলোতে আমরা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের কথা ভাবছি।
বিগত সময়ে তিন হাজারের বেশি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারাও এটা ভালো করে জানেন যে তিন হাজারের বেশি সবাই কিন্তু সাংবাদিক নন। নাম সর্বস্ব বিভিন্ন পত্রিকা ব্যবহার করে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটি আমাদের পুনর্মূল্যায়ন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। এজন্য আমাদের কিছুটা সময় লাগবে। তিন হাজারের বেশি কার্ড আমরা রাখতে পারবো না। এর বেশিরভাগই ভুয়া।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাংবাদিকদের আবেদনের ভিত্তিতে নতুন করে আবার স্থায়ী পাসের ব্যবস্থাটি করবো। সেই সময় পর্যন্ত সীমিত সংখ্যক অস্থায়ী পাস সাংবাদিকদের আগামীকাল থেকে দেওয়া হবে। কারা এ পাস পাবে সেই বিষয়ে আমরা সাংবাদিক সংগঠন এবং মিডিয়া হাউসগুলোর সঙ্গে বসবো। নির্দিষ্ট সংখ্যক অস্থায়ী পাস দেওয়া হবে। কালকে থেকে আপনারা সচিবালয় প্রবেশ করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আগের সব পাসই বাতিল হবে। এখন নতুন করে পাসগুলো সরবরাহ করা হবে। নীতিমালাতেও আমরা কিছু পরিবর্তন আনবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বর জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে একটি ঘোষণাপত্র জাতির সামনে হাজির করবে বলেও জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।
আমার বার্তা/এমই