অনেক সংবাদমাধ্যমে চলছে বেপরোয়া ছাঁটাই; সময়মতো বেতন পরিশোধে ইচ্ছাকৃত অনীহা; মানা হচ্ছে না কর্মঘন্টাও। স্বার্থন্বেষী মহলের রক্ষচক্ষু উপেক্ষা করেই দায়িত্ব পালন করে যাওয়া অনেক সাংবাদিকের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ; ফেরারী হয়েছেন অনেকে; অভিযুক্তরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডিইউজে অফিস। ঘটনার ৮ মাস পর এখনো চলছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের। চলছে চাকরিচ্যুতির ঘটনাও। গত ২৯ এপ্রিল সরকারের উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করার জেরে তিনটি টিভি চ্যানেলের তিনজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়। এমন বাস্তবতায় দরজায় কড়া নামছে মহান মে দিবস।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের পর এ পর্যন্ত বিভিন্ন মিডিয়া হাউজ থেকে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের অবিলম্বে পুনর্বহালের দাবী জানান।
তারা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের চেতনা প্রতিনিয়ত প্রবাহিত হচ্ছে শ্রমিক-সাংবাদিকদের রক্ত-ঘামে। অন্যান্য পেশাজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়লেও সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা বর্তমান বাজারের তুলনায় অনেক কম ও অনিয়মিত। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাতেও সাংবাদিকরা পিছিয়ে আছেন উল্লেখ করে নেতারা আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা শোষণ-বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বিষয়গুলো জানলেও কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন ও ৯ ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের দাবী জানান। একই সঙ্গে আইনসঙ্গত অধিকার বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান ডিইউজের নেতৃবৃন্দ।
আমার বার্তা/এমই