
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া এবং গালফ হেলথ কাউন্সিলের মহাপরিচালক সুলাইমান সালেহ আল দাখিলের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বৈঠকের শুরুতে ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়াকে স্বাগত জানান গালফ হেলথ কাউন্সিলের মহাপরিচালক এবং প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
সিনিয়র সচিব জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাউন্সিলের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া গালফ হেলথ কাউন্সিলের মহাপরিচালককে জানান, গালফ হেলথ কাউন্সিল অনুমোদিত অধিকাংশ মেডিকেল সেন্টার ঢাকায় অবস্থিত। অথচ বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রবাসগামী কর্মী প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করেন। ফলে মেডিকেল টেস্টের জন্য ঢাকায় আসা তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর ও ব্যয়সাধ্য। তাছাড়া অনেক টেস্ট সেন্টারের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত আদায়, সময়মতো টেস্ট রিপোর্ট আপলোড না করাসহ প্রবাসীদের হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, গালফ হেলথ কাউন্সিলের বাংলাদেশে কোনো আঞ্চলিক তদারকি অফিস না থাকায় মেডিকেল সেন্টারগুলোতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা যাচ্ছে না।
তিনি কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুযায়ী মেডিকেল সেন্টারগুলোকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য গালফ হেলথ কাউন্সিল, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেন। এ লক্ষ্যে তিনি একটি ত্রিপক্ষীয় সমন্বয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন এবং প্রত্যেক পক্ষ থেকে একজন করে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণের প্রস্তাব দেন। তাছাড়া মেডিকেল সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কাউন্সিলের গোচরে আনার জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের প্রস্তাব দেন ড. নেয়ামত উল্যা।
কাউন্সিল অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য তিনি তার মন্ত্রণালয়ের অধীন ১১০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং জেলা ও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
গালফ হেলথ কাউমিল মহাপরিচালক অভিবাসন প্রত্যাসী কর্মীদের অতিসহজে, কম খরচে এবং সুষ্ঠুভাবে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হন। তিনি প্রবাসগামী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে লক্ষ্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রবাসীদের সচেতন করা, অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কাউন্সিলকে অবহিত করা এবং ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হন।
তিনি কাউন্সিল অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং কাউন্সিলের অধিকতর নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে বাংলাদেশের যে কোনো প্রস্তাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হলে, তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।
আমার বার্তা/জেএইচ

