
মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে মালদ্বীপের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দফার ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপ করা মালদ্বীপের একদল শিক্ষার্থীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম।
মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
হাইকমিশন জানায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনায় হাইকমিশনার বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার দীর্ঘদিনের সুনাম, আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম এবং বিশ্বমানের ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক কার্যক্রমেই নয়, বরং বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, আতিথেয়তা, খাবার এবং মানুষের আন্তরিকতা কাছ থেকে অনুভব করার জন্য উৎসাহিত করেন।
হাইকমিশনার বলেন, এই ইন্টার্নশিপ কর্মসূচি বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে শিক্ষা কূটনীতি, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পাবলিক ডিপ্লোমেসি এবং সফট পাওয়ার আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। তিনি উল্লেখ করেন যে, এসব কার্যক্রম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও গভীর করবে।
হাইকমিশনার আরও জানান যে, বাংলাদেশ সরকার ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ বছর মোট ২২৪টি আসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে ৬টি এমবিবিএস ও ১টি বিডিএস আসন সংরক্ষণ করেছে। এটি মালদ্বীপের মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
যোগ্য মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
হাইকমিশনার পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় উচ্চমানের, সাশ্রয়ী এবং বিশ্বস্বীকৃত মেডিকেল শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্র। প্রতি বছর বহু মালদ্বীপীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশে সরকারি কোটা ও বিভিন্ন বৃত্তির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব আরও মজবুত করে।
হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের মেডিকেল ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করা এই মালদ্বীপীয় শিক্ষার্থীরা দুই দেশের পারস্পরিক বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন আরও শক্ত করবে এবং ভবিষ্যতে তাদের অর্জিত জ্ঞান দিয়ে মালদ্বীপের স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের সুপরিচিত মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানায়— যা তাদের পেশাগত উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
আমার বার্তা/জেএইচ

