ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রলাভের অধিকার প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোটের সঙ্গে যৌথভাবে ডানপন্থী দলগুলো পার্লামেন্টে এ-সংক্রান্ত বিল আনে। পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ ৬৮ ভোটে পাস হয় এটি। বিলের বিপক্ষে পড়ে মাত্র ৯টি ভোট। পশ্চিমা অনেক নেতা বেনি গানৎসকে নেতানিয়াহুর চেয়ে বেশি মধ্যপন্থী হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। তিনি তাঁর দলের আইনপ্রণেতাদের পাশাপাশি বিলের পক্ষে ভোট দেন। প্রস্তাবে এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে একেবারে নাকচ করে দেওয়া হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ইসরায়েলের নেসেট। ইসরায়েলের প্রাণকেন্দ্রে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের জন্য বাস্তব হুমকি, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত স্থায়ী এবং এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে হামাসের কর্তৃত্ব গ্রহণ, একে উগ্র সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি বানানো ও ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে ইরানের নেতৃত্বাধীন অক্ষের সঙ্গে তাদের সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করা হবে সময়ের ব্যাপার। এ মুহূর্তে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা উৎসাহিত করা হবে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করার নামান্তর এবং এটি বিজয় হিসেবে দেখতে হামাস ও এর সমর্থকদের শুধু উৎসাহিতই করবে। তা ছাড়া, গত বছরের ৭ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞকে বৈধতাদান ও মধ্যপ্রাচ্যকে ‘ইসলামি উগ্রপন্থীদের কবজায় যাওয়ার পূর্বলক্ষণ তৈরি করবে এটি। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে প্রত্যাখ্যান করে নেতানিয়াহুর আনা একটি বিল পাস করেছে নেসেট। তবে তা ছিল ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সমঝোতা ছাড়াই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে কয়েকটি দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ফিলিস্তিনের গাজায় স্থল, জল ও আকাশপথে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
উপত্যকাটির উত্তর থেকে দক্ষিণ-সর্বত্রই তছনছ হয়েছে ইসরায়েলের বোমা ও গুলির আঘাতে। এরই মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে সরে এসেছে হামাস। এতে সেখানে শিগগিরই সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।গাজা নগরের তাল আল-হাওয়া,শেখ আজলিন আল-সাবরা এলাকা এবং নুসেইরাত আশ্রয়শিবিরে নির্বিচার গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি সেনারা। মধ্য গাজার আল-মুগারাকা এলাকাও ইসরায়েলের গোলা আঘাত হেনেছে। এ অঞ্চলের আল-মাগাজি শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর তিন শিশুসহ পাঁচ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফা এলাকায় সামরিক নৌযান ও হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার উপকূলীয় এলাকা গুলোয় তারা সামরিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আর রাফা ও মধ্য গাজায় হামলা চালিয়ে তারা বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা’কে হত্যা করেছে। উপত্যকাটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী হামলা চালিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। ইসরায়েলের এ চলমান হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৮ হাজার ৬৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৯৭ জন। ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে ওই দিনই দেশটিতে ঢুকে ১ হাজার ১৯৫ জনকে হত্যা করেন হামাস সদস্যরা। জিম্মি করা হয় ২৫১ জনকে। তাঁদের মধ্যে ১১৬ জন এখনো হামাসের হাতে বন্দী। জিম্মিদের মুক্ত করতে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য দফায় দফায় আলোচনায় বসছে ইসরায়েল ও হামাস। তবে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চলমান আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে তারা। হামাস নেতা মোহাম্মদ দাইফের হত্যাচেষ্টার সময় ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে এক বিবৃতিতে হামাস বলে, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে জাতিগত নিধনে সমর্থন দিচ্ছে মার্কিন সরকার। ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের যে রক্ত ঝরছে, তার প্রতি অবজ্ঞা দেখাচ্ছে দেশটি। আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক চারটি ঘটনা সম্ভবত ইসরায়েলকে কোণঠাসা করে ফেলবে এবং ইসরায়েল সব সময় যে মুখোশ পরে বিশ্বের সামনে হাজির হয়, সম্ভবত এই ঘটনাগুলো সেই মুখোশকে টেনে খুলে ফেলবে। এরই মধ্যে এ যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিক্ষোভ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া। ফিলিস্তিনকে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের স্বীকৃতি দেওয়া। সর্বশেষ ঘটনা হলো, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) ইসরায়েলকে রাফাতে হামলা বন্ধের নির্দেশ।যদিও ইসরায়েল নিজেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার চালানো যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে ন্যায্যতা দিতে যে মিথ্যা ভাষ্য গড়ে তুলেছে, সেই ভাষ্যকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ঘটনাগুলোকে হিমশৈলের ডগামাত্র বলা যেতে পারে। ইসরায়েলের অপরাধগুলোর সাম্প্রতিকতমটি সংঘটিত হয়েছে ২৬ মে সন্ধ্যায়। ওই দিন রাফায় জাতিসংঘের পরিচালনাধীন একটি নিরাপদ অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে ইসরায়েল সেনাবাহিনী রকেট ছোড়ে। এতে অন্তত ৪০ জন পুড়ে মারা গেছেন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন নারী ও শিশু। ইসরায়েল যদিও আইসিসি, আইসিজে এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া তিনটি ইউরোপীয় দেশকে প্রতিশোধমূলক হুমকি দিয়েছে, তবে সেই হুমকিগুলো আরও বেশি ভীতি নিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পশ্চিম তীরের প্যালেস্টিনিয়ান অথোরিটির (পিএ) কাছে গেছে।
২২ মে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থানেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রাপ্য রাজস্ব আটকে দেওয়া, ফিলিস্তিনি ব্যাংকগুলোকে বাইরের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা, পশ্চিম তীরে ইহুদিদের জন্য আরও কয়েক হাজার হাউজিং ইউনিট নির্মাণের অনুমোদন করা, একতরফাভাবে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, এমন প্রতিটি দেশের সঙ্গে নতুন বন্দোবস্তে যাওয়া ইত্যাদি। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এবং জি-৭ ভুক্ত কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনি ব্যাংকগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে ফিলিস্তিনি অর্থনীতির জীবন রক্ষাকারী ধমনি অচল হয়ে যাবে। ২২ মে গ্যালান্ট পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের সুরক্ষায় ২০০৫ সালে প্রণয়ন করা ইসরায়েলি বিচ্ছিন্নতা আইন প্রত্যাহার করেছেন। তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনের প্রণয়ন করা আইনটিতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দখলদারি সরিয়ে নেওয়া এবং পশ্চিম তীরে চারটি ইহুদি বসতি সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন সেই আইন বাতিলের ফলে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা সেই সরিয়ে নেওয়া বসতিগুলোকে আবার সেখানে ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেলেন। ২২ মে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রাপ্য রাজস্ব আটকে দেওয়া, ফিলিস্তিনি ব্যাংকগুলোকে বাইরের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা, পশ্চিম তীরে ইহুদিদের জন্য আরও কয়েক হাজার হাউজিং ইউনিট নির্মাণের অনুমোদন করা, একতরফাভাবে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় এমন প্রতিটি দেশের সঙ্গে নতুন বন্দোবস্তে যাওয়া ইত্যাদি।
ব্যক্তি, রাষ্ট্র কিংবা প্রতিষ্ঠান-যে যখনই ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড বা নীতির সমালোচনা করেছে, ইসরায়েল তখনই তার বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে তাকে আক্রমণ করেছে। ইসরায়েলের এই চরমপন্থী অবস্থানে সব সময় তার সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পাশে ছিল। তাদের ওপরই দেশটি সব সময় নির্ভর করে এসেছে। ইসরায়েলের বাইরে শুধু এই দুই দেশ আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ইসরায়েলের বর্তমান ও পূর্ববর্তী সরকারগুলোর কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আগেভাগেই ঠিক করে রেখেছে। এগুলো তাদের পরিকল্পনার অংশ। একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানো এবং একটি বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে যাতে অসম্ভব করে তোলা যায়, সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করে যাচ্ছে।অনেক ফিলিস্তিনি এখন মনে করছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা ও দখলদারির থেকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট হবে না। তাঁরা মনে করেন, গাজায় যে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হচ্ছে, তাতে বিশ্ববাসী বিক্ষুব্ধ হচ্ছেন এবং সেই ক্ষোভকে সাময়িকভাবে প্রশমিত করার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে সত্যিকার অর্থে কার্যকর পদক্ষেপের দিকে মনোনিবেশ না করে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তাঁদের এই ধারণা যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ। তবে একই সঙ্গে আমি দেখতে পাচ্ছি, ফিলিস্তিনিরা ধাপে ধাপে যা অর্জন করছেন, তা ইসরায়েলি দখলদারির অবসান ও ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটি প্রতিপক্ষকে এক ঘুষিতে ফেলে দেওয়ার মতো ব্যাপার নয়; বরং বারবার আঘাত করে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করে ফেলার মতো ব্যাপার। বিশ্বে নতুন বাস্তবতা তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট ইসরায়েলকে খারিজ করার প্রবণতা বাড়ছে এবং সেই নতুন বাস্তবতা দখলদারি এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ক্রমবর্ধমানভাবে সংহত করছে।
আন্তর্জাতিক জনমত আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন গণহত্যা বন্ধ করা, দখলদারি অবসান ঘটানো এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের বৈধ অধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন।
আমাদের আশা, এই ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক ঐকমত্য জনমতের একটি বৈশ্বিক সুনামি ঘটাবে এবং সেই সুনামির তোড়ে ইসরায়েলি দখলদারি ভেসে যাবে। সেই সুনামি ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার ও মর্যাদা নিয়ে আসবে। ইসরায়েলই সবচেয়ে বেশি দায়ী ফিলিস্তিনি জনগণকে ক্রমাগত বিতাড়ন-নির্যাতন করে চলার জন্য। ইসরায়েল যে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে, তা হাল জমানার সবচেয়ে দীর্ঘ ও নৃশংস সামরিক দখলদারত্ব। ইসরায়েলকে নিঃশর্তভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য পশ্চিমা বিশ্বও দায় এড়াতে পারে না। পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন বারবার জাতিসংঘরে নিরাপত্তা পরিষদে আনীত বিভিন্ন প্রস্তাবে ভেটো প্রদান করে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। মনে রাখতে হবে, ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরায়েলের কাছে প্রতিবেশীদের সঙ্গে হয় ভূমি, নয় শান্তি বেছে নেওয়ার আর কোনো বিকল্প নেই। ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে ইসরায়েল শান্তি বর্জন করে ভূমিকেই বেছে নিয়েছে।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।
আমার বার্তা/জেএইচ