ই-পেপার বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১

বিভিন্ন শিল্পে কর সংযোজন ও প্রত্যাহার

কমল চৌধুরী:
২৭ জুলাই ২০২৪, ১৫:৪১

বাংলাদেশ স¦ল্পোন্নত দেশ থেকে ইতিমধ্যে উত্তরণ হয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ । কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে ক্রমান্বয়ে শিল্পোন্নয়ন ভিত্তিক অর্থনীতিতে রুপান্তর,ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের উদ্দেশ্যে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরি এবং শিল্পখাতকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে এবং উন্নয়নকে একটি শক্ত কাঠামোর উপর দাঁড় করানোর জন্য প্রয়োজন অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। এ উদ্দেশ্যে একদিকে যেমন রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে হবে অন্যদিকে দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণ,রপ্তানী পণ্যের বহুমুখীকরণে সহায়তা, দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগীতা সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ ও ”মেইড ইন বাংলাদেশ” স্লোগানকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।একই সাথে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে আমদানি পর্যায়ের বিদ্যমান বিভিন্ন শুল্ক-হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার প্রাক্রয়া অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তি,প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি পর্যায়ে শুল্ক অব্যাহতি ভোগ করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিদ্যমান এ সকল বাস্তবতায় উল্লিখিত উদ্দেশ্যসমূহ অর্জনে এবং দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে অর্থায়নের উদ্দেশ্যে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিসহ অন্যান্য প্রস্তাবসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আমদানি শুল্ক-কর বিষয়ে প্রণীত প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী,এমপি গত ৩০ জুন সংসদে উপস্থাপন করেন এবং ৩০ জুন বাজেট পাশ হয়েছে।

>> শিল্পখাত : কর্মসংস্থান সৃজন ও দেশি- বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে শিল্প খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় শিল্পখাতের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ আবশ্যক ।বিনিয়োগ বৃদ্ধি,যথাযথ প্রতিরক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যমান শিল্পের বহুমুখী প্রসারের কৌশল হিসেবে বিভিন্ন উপখাতের জন্য শুল্ক-কর হ্রাস /বৃদ্ধির প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

>> পুনঃমোড়কজাতকরণ শিল্প : গুঁড়াদুধ আমদানির ক্ষেত্রে আড়াই কেজি পর্যন্ত প্যাকে এবং বাল্ক আকারে আমদানির ক্ষেত্রে মোট করভারের পার্থক্য অনেক বেশি থাকায় স্থানীয়ভাবে প্যাকেটকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ ভোক্তার নিকট থেকে অযৌক্তিক পরিমান মুনাফা অর্জন করছে। গুঁড়া দুধের মূল্য যৌক্তিকীকরণের অংশ হিসেবে আড়াই কেজি পর্যন্ত প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধের উপর বিদ্যমান ২০% সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতদসত্ত্বেও আমদানির সাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মোট করভারের পার্থক্য বা প্রতিরক্ষণ থাকবে ২১% যা দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণে কোন অন্তরায় ঘটাবেনা। মিথাইল এলকোহল বিভিন্ন শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল। শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার্য মিথানল সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। বর্তমানে খুচরা ও বাল্ক আকারে আমদানির উপর একই হারে আমদানি শুল্ক বিদ্যমান থাকায় বাল্ক আকারে পণ্য আমদানি করে স্থানীয়ভাবে রি-প্যাকিং এর ক্ষেত্রে কোন প্রণোদনা বলবৎ নেই। তাই দেশীয় পুনঃপ্যাকেজিং শিল্পকে উৎসাহিত করতে বাল্ক আকারে মিথানল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫% এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০% নির্ধারণ করা হয়েছে।

>> কার্পেট উৎপাদনকারী শিল্প : দেশে বর্তমানে কার্পেট তৈরির শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কার্পেট উৎপাদনের একটি অন্যতম মূল কাঁচামাল হচ্ছে পলিপ্রপাইলিন আর্ন। পণ্যটি দেশে উৎপাদিত হয়না বিধায় দেশের কার্পেট উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ আলোচ্য পণ্যটির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে আমদানি নির্ভর । এমতাবস্থায় দেশে নতুন গড়ে উঠা এই শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে পণ্যটির আমদানি শুল্ক ১০% হতে হ্রাস করে ৫% করা হয়েছে।

>> ফেরো এলয় উৎপাদনকারী শিল্প: দেশে বর্তমানে ফেরো এলয় জাতীয় পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। রড,বার,এ্যাংগেল ইত্যাদি পণ্য উৎপাদনকালে তা পরিশোধন করার কাজে এই পণ্য ব্যবহার হয়। ফেরো এলয় নামীয় পণ্য উৎপাদনে একটি অপরিহার্য কাঁচামাল হচ্ছে ম্যাংগানিজ। উক্ত পণ্য আমদানিতে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ১০%। দেশীয় শিল্পকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্ত অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল ম্যাংগানিজ আমদানিতে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ১০% হতে হ্রাস করে ৫% নির্ধারণ করা হয়েছে।

>> এলআরপিসি ওয়্যারউৎপাদনকারী শিল্প: বর্তমানে দেশে বিভিন্ন ধরনের উৎকৃষ্ট মানের এবং নন-এ্যালয় স্টিলের তার উৎপাদিত হচ্ছে যা ব্যবহৃত হলে বৈদেশিক মুদ্রার উপর চাপ কমবে।ফলে,এ জাতীয় পণ্যের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে যা দেশীয় শিল্পকে অধিকতর বিকাশে সহযোগিতা করবে। বর্ণিত অবস্থায় এলআরপিসি ওয়ার এর আমদানি শুল্ক ১০% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% নির্ধারণ করা হয়েছে।

>> এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটর উৎপাদনকারী শিল্প: এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুসারে রেয়াতি হারে ম্প্রেসার আমদানি করতে পারে।এয়ারকন্ডিশনার স্বল্প আয়ের জনগণ ব্যবহার করেনা বিধায় উক্ত কম্প্রেসর এর রেয়াতি হার প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া বর্র্তমানে দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসার উৎপাদন হয় বিধায় বেকওয়ার্ড লিংকেজ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর শিল্পে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি হার প্রত্যাহার হয়েছে।

রাজস্ব প্রদানে সক্ষমতা বিবেচনায় স্বার্থে এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত বিভিন্ন প্রকারস্টিল সিটএর আমদানি শুল্ক ৫% হতে বৃদ্ধি করে ১০% নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে যে সকল পণ্যে আমদানি শুল্ক ১০% নির্ধারিত রয়েছে উক্ত পণ্যসমূহের আমদানি শুল্ক ১০% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া যথাযথ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে ন্যূনতম মূল্য ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ০২ লক্ষ বিটিইউ এর অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ারকন্ডিশনার আমদানিতে ১% আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য। উক্ত সীমা বৃদ্ধি করে ০৩(তিন)লক্ষ বিটিইউ নির্ধাারণ করা হয়েছে অর্থাৎ০৩(তিন) লক্ষ বিটিইউ এরঅধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ারকন্ডিশনার আমদানিতে ১% আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে।

>> পানি পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদনকারী শিল্প: দেশে বর্তমানে গৃহস্থালীতে ব্যবহারযোগ্য পানি পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদিত হচ্ছে।এমতাবস্থায় দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার জন্য বর্ণিত যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ১০% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% করা হয়েছে।

>> সুইচ সকেট উৎপাদনকারী শিল্প: বর্তমানে দেশে মানসম্মত সুইচ সকেট উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু সম্পূর্ণ তৈরি সুইচ সকেট এর ন্যূনতম আমদানি মূল্য প্রকৃত আন্তর্জাতিক মূল্যের চেয়ে কম নির্ধারিত থাকায় স্থানীয় শিল্প অসম প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হচ্ছে।তাই সম্পূর্ণ সুইচ,সম্পূর্ণ সকেট এবং এগুলির পার্টসের ন্যূনতম মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

>> ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনকারী শিল্প: বর্তমানে দেশে ইলেকট্রিক মোটর তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। ইলেকট্রিক মোটর বিভিন্ন শিল্পে মধ্যবর্তী পণ্য হিসেবে ভ্যবহৃত হয়। তাই উক্ত খাতের শিল্পকে প্রণোদনা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে। এছাড়া উক্ত জারীতব্য প্রজ্ঞাপনটিকে যথাযথভাবে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন এবং বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফ এ প্রাসংগিক সংশোধন করা হয়েছে।

>> স্থানীয় সেলুলার ফোন উৎপাদনকারী শিল্প: বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোন বা সেলুলার ফোন উৎপাদন/সংযোজনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশসমূহ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার ফলে নিয়ত পরিবর্তনশীল। ফলে দেশে উৎপাদিত ফোনে নতুন ফিচার সংযোজনের স¦ার্থে প্রতিষ্ঠানসমূহের নতুন নতুন উপকরণ বা যন্ত্রাংশ আমদানির প্রয়োজন হয়।এ প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে নতুন উদ্ভাবিত কতিপয় পণ্যকে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনে সংযোজন এবং বিদ্যমান কিছু পণ্যের বর্ণনা সংশোধন করা হয়েছে। মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যবহৃত উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে জারীকৃত বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ ৩০ জুন,২০২৪ পর্যন্ত বহাল ছিল।দেশীয় উৎপাদনকারী এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদত্ত সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য উক্ত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ ৩০ জুন,২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

>> মোটর সাইকেল উৎপাদনকারী শিল্প: বর্তমানে দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী কিছু প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিন সংযোজন করছে। এ ধরনের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে মোটর সাইকেল এর পার্টসসমূহকে মোটর সাইকেল প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানরে উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উল্লিখিত পণ্যসমূহের আমদানির বিপরীতে আরোপণীয় ৩(তিন) শতাংশের অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এবং সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। তবে,২৫০ সিসির ঊর্ধ্বসীমার ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর সাইকেলের জন্য উক্ত যন্ত্রাংশগুলি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০(দশ) শতাংশ ধার্য করা হয়েছে।একই সাথে বাংলাদেশ কাষ্টমস ট্যারিফ এ মোটর সাইকেলের ইঞ্জন এর যন্ত্রাংশের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% ধার্য করা হয়েছে।

>> স্থানীয়ভাবে এটিএম এবং সিসি ক্যামেরা উৎপাদনকারী শিল্প: এটিএম এবং সিসি ক্যামেরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনটি জুন ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ রাখার লক্ষ্যে তা সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে।

>> টেক্সটাইল শিল্প: টেক্সটাইল শিল্পের যন্ত্রপাতি,উপকরণকাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনেবিটিএমএ এর সুপারিশ অনুযায়ী কতিপয় পণ্যকে উক্ত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

>> জেনারেটর সংযোজন এবং উৎপাদনকারী শিল্প: জেনারেটর সংযোজন এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত উপকরণের ওপর প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক যৌক্তিকীকরণ করে ০% এর পরিবর্তে ১% নির্ধারণ করা হয়েছে।

>> এলইডি ল্যাম্প এবং এনার্জি সেভিং ল্যাম্প উৎপাদনকারী শিল্প: এলইডি ল্যাম্প এবং এনার্জি সেভিং ল্যাম্প উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত উপকরণের ওপর প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক যৌক্তিকীকরণ করে ০% এর পরিবর্তে ১% নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে উক্ত প্রজ্ঞাপনের টেবিল-১ এ উল্লিখিত কতিপয় মধ্যবর্তী বা সম্পূর্ণরুপে প্রস্তুকৃত পণ্য উপকরণ সংশ্লিষ্ট এই প্রজ্ঞাপন হতে বাদ দেয়া এবং প্রজ্ঞাপনটি জুন ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।

>> অন্যান্য শিল্প: বর্তমান বাস্তবতায় বিভিন্ন কারণে দেশীয় বিমান পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো বিদেশি সংস্থাগুলোর তুলনায় প্রতিযোগীতায় ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এভিয়েশন খাতের উত্তরণ কল্পে এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিবেচনায় এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন ও প্রপেলারের ওপর আমদানি পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিভিন্ন শিল্পের একটি অত্যাবশ্যকীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি হচ্ছেছিলার। এ সকল ছিলারএর আমদানির ক্ষেত্রে কিছুটা উচ্চ করভার প্রযোজ্য রয়েছে যা শিল্পায়নের অন্তরায়।বর্ণিত অবস্থায় শিল্পে বহুল ব্যবহৃত বিবেচনায় ৫০ টন বা তদুর্ধ্ব ক্ষমতার চিলার আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫% ও অগ্রিম আয়কর বাদে অন্য সকল কর মওকুফ করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগান বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ পণ্যটি দেশীয় ভোক্তাদের নিকট সহজলভ্য করতে এবং নকলটি ক্রয়ের মাধ্যমে প্রতারনার হাত থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করতে ল্যাপটপ এর আমদানি শুল্ক ৫% হতে বৃদ্ধি করে ১০% করা হয়েছে।একই সাথে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে সর্বমোট করভার ৩১% হতে কমে ২০.৫০% এ গিয়ে দাঁড়াবে।

আমদানিকৃত সাধারণ কিলোওয়াট মিটার এবং প্রি-পেইড কিলোওয়াট আওয়ার মিটার –এর মাঝে মোট করভারে পার্থক্য বিদ্যমান যা সমান হওয়া যৌক্তিক। সে বিবেচনায় প্রি-পেইড কিলোওয়াট আওয়ার মিটার ও অন্যান্য ইলেকট্রিক মিটার এর আমদানি শুল্ক ২৫% এবং প্রি-পেইড কিলোওয়াট মিটার পার্টস ও অন্যান্য ইলেকট্রিক মিটার এর পার্টস এর আমদানি শুল্ক ১৫% ধার্য করা হয়েছে। এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে দ্রুততর সময়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যেও খালাস নিশ্চিত হবে, দেশের অর্থনীতির চাকা অধিকতর গতিশীল হবে এবং উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথ সুগম হবে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় ও নির্দেশনা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি।

আমার বার্তা/কমল চৌধুরী/এমই

পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি ও নোবেল শান্তি পুরস্কার

সভ্যতা ও জ্ঞানের অগ্রগতিতে নোবেল পুরস্কারের অবদান অনেক। বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তি এই ক্ষেত্রগুলোতে নোবেল

বিশ্ব রাজনীতির রূপরেখা: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণ

বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক পরিসরে প্রবাহিত হচ্ছে, যেখানে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রাখাইন পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের উদ্যোগ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির (এ এ) মধ্যেকার সংঘাত চলমান এবং রোহিঙ্গা

প্রয়োজন একজন হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা

দেশের সড়ক যেন এক মৃত্যু ফাঁদ। পরিবারের কাছ থেকে সকালে হাসি মুখে বিদায় নিয়ে বের
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ছয় কোটি টাকার ব্রীজ ৩ মাসে অচল

তুলে নেওয়া হলো রাঙামাটি ভ্রমণে বিধি-নিষেধ

বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার

হজের সর্বনিম্ন খরচ ৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা

নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ ৪ বছর হওয়া উচিত: হাসান আরিফ

রাজধানীর উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত

ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন ৭০০ শিক্ষার্থী

দুদকের নতুন কমিশন গঠনে আলোচনায় যারা

কোনো ক্রমেই যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয় সেটা দেখবো

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে যা বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের ৩ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

দেশে হাসিনার ফ্যাসিস্ট পার্টির কোনো জায়গা নেই: ড. ইউনূস

সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নির্বাচনের ব্যবস্থা: ফখরুল

রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেন ব্যবসায়ী

রায়ের আগে ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরত চাইবে না সরকার

গ্রামীণফোনের নতুন সিসিএও তানভীর মোহাম্মদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

সংস্কার কমিশনকে সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন

ঢাকাসহ যে ছয় বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে ভূতের সিনেমা