তিস্তা নদীকে এক কথায় বাংলাদেশের দুঃথ বলা হয়ে থাকে। দিস্তাং,স্যাংচু,রঙ্গ,তৃষ্ণা বলেও ডাকে তিস্তাকে অনেকে। কেউ কেউ বলেন,‘ত্রিস্রোতা’বা তিন প্রবাহের (করতোয়া,আত্রাই,পুনর্ভবা)জন্যই তিস্তা।তিস্তা বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদী। ১৭৮৭ সালের মহাপ্লাবনে এ নদীর বর্তমান প্রবাহের সৃষ্টি। ভারতের সিকিম রাজ্যের চুনটাংডে ও লাচংচুর সঙ্গমে জন্ম তিস্তা। উজানের তিস্তা বাংলাদেশের পাঁচ জেলা নীলফামারী,লালমনিরহাট,রংপুর,কুড়িগ্রাম হয়ে গাইবান্ধার হরিপুর ঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদেও সাথে মিলেছে।তিস্তা ব্রহ্মপুত্র নদের উপনদী।
তিস্তা জন্ম থেকেই বয়ে চলছিল।কোথাও বাধা ছিল না।বাধাহীন তিস্তা উজান ও ভাটিতে ছিল স্রোতোবহা।গোটা তিস্তার দৈর্ঘ্য ৩১৫ কিলোমিটার।বাংলাদেশ অংশে এর দৈর্ঘ্য ১১৫ কিলোমিটার।আপাতদৃষ্টে আমাদের তিস্তা নদীকে একটি নদী মাত্র ভাবা হলেও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ২২টি শাখা ও উপনদী।এগুলোর মধ্যে সানিয়াজান ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে পাটগ্রামে তিস্তার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নীলফামারীর বুড়িতিস্তাও আন্তঃসীমান্ত নদী । পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তার অনেক শাখা নদীকে হত্যা করেছে। জলঢাকা উপজেলার শৈলমারীতে ঘাঘটের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে পাউবো। ঘাঘটের শাখা শ্যামাসুন্দরী,শালামারা ও আলাইয়ের আজ মরণদশা। ্এরকম তিস্তার সঙ্গে অনেক নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা কেবল একটি মাত্র প্রবাহ নয়,শাখা-প্রশাখা ও উপনদী মিলেই তিস্তার প্রাণ-প্রকৃতি। তিস্তা নদীকে সুরক্ষা করতে হলে উপনদী ও শাখা নদীকে বাদ দিয়ে তা কখনোই সম্ভব নয়।
বারোমাসি নদী হিসেবে তিস্তাকে সবাই চিনত।এক সময় তিস্তায় মিলত হরেক রকমের মাছ। তিস্তা এবং তিস্তার শাখা-প্রশাখা ও উপনদীগুলো ছিল মাছের অভয়ারণ্য। তিস্তার বৈরালী মাছ খুবই সুস্বাদু। তিস্তা নদীকে ঘিরে অসংখ্য মৎসজীবী মাছ আহরণ পেশায় যুক্ত ছিল। তিস্তা নদীতে তিস্তার শাখা-উপনদীগুলোতে মাছ না থাকায় মৎস্যজীবীরা তাদের পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন। পেশা পরিবর্তন করেছেন জেলে-মাঝি-মাল্লারাও।
পালতোলা নৌকা চলত তিস্তার বুকে। তিস্তার বুকে পানসি,গয়লা, টাপুর ডিঙি নিয়ে ভেসে বেড়াতো অনেকেই। শুধু তিস্তায় নয়,তিস্তার শাখা ও উপনদী দিয়ে ছুটতো নৌকা। এক সময় তিস্তার নৌপথই ছিল ব্যবসা-বানিজ্য যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এখন তিস্তা বারোমাসি নয়। তিস্তা এখন মৌসুমী ও মাছ শুন্য নদী।এপ্রিল মে মাসে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রজননের জন্য উজানে ছুটে যায়।বর্তমানে এপ্রিল মে মাসে বাংলাদেশ অংশের তিস্তায় পানি শূূন্য থাকায় মাছের প্রজনন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়েছে। শুধু মাছ নয়,নদী জলশূন্য হওয়ায় তিস্তাসহ তিস্তার শাখা-উপনদী সব বেদখল হয়ে যাচ্ছে।তিস্তা দখলে মহোৎসবে মেতে উঠেছে দেশীয় নানা কোম্পানি।
ভারতের গজালডোবা নামক স্থানে নির্মিত ব্যরাজ তিস্তার প্রবাহকে বন্দি করে রেখেছে।গজলডোবার উজানে সিকিমে নির্মিত হয়েছে ৩১টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। খবরে প্রকাশ,পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরো তিনটি খাল খননের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। একই সঙ্গে তিস্তা,ধরলা ও মহানন্দার উপনদীগুলোতে অনেক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সর্বনাশা উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এটি বাস্তবায়িত হলে ধরলাসহ রংপুর বিভাগের আন্তঃসীমান্ত সব নদী বিরাণভ’মিতে পরিনত হবে। শুধু খরাকালে নয়,সম্পূরক সেচের কাজে বর্ষাকালেও তিস্তায় পানি থাকবে না।
তিস্তার প্রবাহে নানা বাঁধ,ব্যারেজ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কারণে তিস্তা তার ছন্দময় প্রবাহ হারিয়ে ফেলেছে। এ কারণে শুস্ক মৌসুমে গোটা তিস্তায় পানির প্রবৃদ্ধি কমে যায়। খরাকালে বাংলাদেশ অংশের ১১৫ কিলোমিটার তিস্তা হয় রক্তশূন্য সরীসৃপ। সমতলের চেয়েও উঁচু বুক নিয়ে এ সময় আমাদের তিস্তা বালুস্তুপে মরা কাঠ হয়ে শুয়ে থাকে। থাকে না নব্যতা। খরাকালে তিস্তার উজানে যতটুকুই পানি থাক তার হিস্যাটাও আমাদের প্রয়োজন।এটাই আন্তর্জাতিক আইন,ভারতের আদালতের রায়েও সেই নির্দেশনা দিয়েছে। ভারকে কর্ণাটক ও তামিলনাডু রাজ্যের মধ্যে কৃষ্ণা ও কাবেরি নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট তার ঐতিহাসিক রায়ে বলেছে,ভাটির অংশের মানুষ ও প্রাণীজগৎকে বাচিঁয়ে রাখতে প্রয়োজনে উজানের কৃষকের পেশা পরিবর্তন করতে হবে।অভিন্ন নদীতে উজান-ভাটির সমান অধিকার আছে সে কথা মানেন না পশ্চিমবঙ্গের সরকার প্রধান মমতা। তাঁর বয়ান,“খরাকালে তিস্তায় পানি থাকে না। তাই তিনি পানি দেবেন না। আন্তঃসীমান্ত বা আন্তঃরাষ্ট্রীয় পানি ব্যবহার সম্পর্কিত ১৯৫৮ সালের আইন এ ধরনের পানি প্রত্যাহার সমর্থন করে না। এটি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।কোন আন্তর্জাতিক আইন,এসনকি ভারতীয় আইনেও তা অগ্রহণযোগ্য। প্রতিষ্ঠিত আইন,নৈতিকতা,ভারতের সুপ্রিমকোর্টের রায়,২০১১ সালে ভারত-বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী দ¦য়ের স্বাক্ষরিত অববাহিকাভিত্তিক এগ্রিমেন্টের ধারা-কোন কিছুই মানছে না ভারত। ২০১৪ সালের আগে অল্প কিছু পানি হলেও তারা ছাড়ত। ২০১৪ সাল থেকে শুস্ক মৌসুমে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শক্তিশালী ভারত তিস্তার সব পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।খরাকালে ৫০০-৬০০কিউসেক পানি যেটুকু আসে তা উপনদীর পানি। দেশীয় ব্যবস্থাপনায় তিস্তা সুরক্ষার কাজটিকে ঝুলে রাখলে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠবে।মহাবিপদ নেমে আসবে তিস্তা পাড়ের বিস্তীর্ণ সমৃদ্ধ জনপদে।
বর্ষাকালে তিস্তায় প্রবাহিত হয় তিন থেকে চার লাখ কিউসেক ঘনফুট পানি। গভীরতা না থাকায় এ পরিমান পানি বাংলাদেশ অংশের তিস্তা তার বুকে ধারণ করতে পারে না। তিস্তার শাখা-প্রশাখা ও উপনদীগুলোর সাথে তিস্তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে উঠে। উজানে পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমি বৃষ্টি বাড়লে গজলডেবার সব কপাট খুলে দেয়া হয়। পানির ঢল দ্রুতবেগে নেমে আসে তিস্তা তীরবর্তী জনপদে। ভেসে যায় বাংলাদেশ অংশের তিস্তার দু’কুল। ভেসে যায় ঘরবাড়ি। ভেসে যায় তিস্তা অববাহিকার হিডেন ডায়মন্ডখ্যাত পেঁয়াজ,রসুন,কাঁচামরিচ,বাদাম,ভ’ট্টা,আলু,ধান পাটসহ সবকিছুই। গোটা বর্ষাকালেই তিস্তা অববাহিকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। শুধু বর্ষাকালেই না,অসময়ে বন্যা হয় তিস্তায়।২০২১ সালে ২০ অক্টোবর অসময়ে স্মরণকালের বন্যা হয়েছিল। তিস্তায় ফেব্রুয়ারীতে ফসল ডুবে যাওয়ার নজির নেই। বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গন প্রবন নদী। প্রতি বছর ভাঙ্গনে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। প্রতিবছর তিস্তার ভাঙ্গনে কমপক্ষে প্রায় একলক্ষ কোটি টাকার ফসল ও সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়।
রংপুর বাংলাদেশের সবচেয়ে গরিব বিভাগ। এককথায় সারা দেশে দারিদ্র্যের হার কমলেও রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। রংপুর বিভাগে অতি দারিদ্র্যের প্রধান কারণ তিস্তার ভাঙ্গন। তিস্তার দুরাবস্থার প্রধান কারণ তিস্তার কোন পরিচর্যা না করা। উপর্যুপরি ভাঙ্গনে তিস্তার প্রস্থ কোথাও কোথাও বেড়ে দঁিড়িয়েছে গড়ে ১০-১২ কিলোমিটার।বৃটিশ-পাকিস্থান আমলে বর্ষাকালে তিস্তা প্রস্থে ছিল দেড় কিলোমিটার ,খরাকালে ছিল এক কিলোমিটার। গোটা মৌসুমে তিস্তা ছিল প্রবাহমান,খরস্রোতা।এখন তা শুধুই মরিচিকা। তিস্তা ছিল চিরযৌবনা। কবিতা,উপন্যাস,সাহিত্য ও গানে সে কথা আছে। তিস্তা এখন মরা নদী,পাগলি নদী।তিস্তার বুক ভরাট।২৩৫ বছর বয়সী তিস্তাকে দেশীয় ব্যবস্থাপনায় একবারও পরিচর্যা করা হয়নি। ভাটির তিস্তার এ দুরবস্থার দায় উজানের-একথা সত্য। ফেডারেলিজমের দোহাই দিয়ে তিস্তা চুক্তি ও অববাহিকা ভিত্তিক নদী-পানি ব্যবস্থাপনা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আলোচনা চললেও প্রতিশ্রুত সমাধান মিলছেনা। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সংকট। বিকল্প কি?
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় লন্ডভন্ড গোটা পৃথিবী,গোটা বাংলাদেশ। বাড়ছে খরা,বন্যা,জলোচ্ছাস,ঘূর্ণিঝড়,দাবানলসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিশ্বে উষ্ণতা কমিয়ে আনতে কার্বন নিঃস্বরণ কমাতে যে ঐক্যমত্য হয়েছিল সেই চুক্তি থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে আমেরিকা,পশ্চিমা বিশ্বসহ উন্নত দেশগুলো। পরিস্থিতি বেসামাল।এ অবস্থার জন্য দায়ী আমরা নই,উন্নত দেশগুলো। বাংলাদেশের অবস্থা খুবই নাজুক। উষ্ণতার কারণে বরফ গলে সাগরে পড়ছে। সাগরের লোনা পানি ঢুকে পড়ছে দক্ষিণাঞ্চলীয় ১৯টি উপকুলীয় জেলায়। সুপেয় মিঠা পানির সংকটে দিশেহারা দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষ। খরার দাপট বাড়ছে। গোটা উত্তরাঞ্চলে ভ’গর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নীচে নেমে যাচ্ছে। খাল-বিল-নদী-পুকুর-ঝলাশয় পানি শূন্য। গঙ্গা কপোতাক্ষ প্রকল্পের মতো তিস্তা অববাহিকার বিশাল জনপদেও সেচ কাজে গভীর ও অগভীর নলকুপে পানি উঠছে না।ভ’-উপরস্থ পানির আধার সংকোচিত হচ্ছে। বাড়ছে উপর্যুপরি খরা ও অসময়ের বন্যা।বাড়ছে নদী ভাঙ্গন।
তিস্তাপারের লোকজন বলেন,তিস্তা প্রতিবছর চ্যুট চ্যানেল সৃষ্টি করে গতিপথ পরিবর্তন করছে। বর্ষাকালেও অনেক সময় তিস্তা শুকিয়ে যায়। এখানকার জেলে মাঝিরাও তিস্তার মূলধারা চিনতে পারেন না। তিস্তার মূল ধারাটি প্রবাহমান করে তুলতে ব্যাপক খননই হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার মূল কাজ। ব্যাপক খননের মাধ্যমে তিস্তার মূল ধারা পুনরুদ্ধার করা গেলেই পানি দ্রুত সাগরে নামতে পারবে।খননের ফলে যে পরিমান মাটি পাওয়া যাবে তা দিয়ে নদীর দুই ধারে ১৭৪ কিলোমিটার ভ’মি গঠিত হবে। ব্যাপক খননের মাধ্যমে তিস্তার দুই পারে পুনরুদ্ধারকৃত ১৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইকোপার্ক,ইন্ডাষ্ট্রিয়াল জোন,আধুনিক কৃষি,মৎস্য খামার,কৃষিভিত্তিক কলকারখানা ও জনবসতি গড়ে উঠবে। গড়ে উঠবে স্যাটেলাইট টাউন। তিস্তা খননের ফলে ব্রহ্মপুত্র দিয়ে যমুনার সঙ্গে সারা বছর একটি নৌ কানেক্ট্রিভিটি সচল থাকবে।
বর্ষার প্রবাহমান পানির মাত্র আট শতাংশই আমরা ব্যবহার করতে পারি।বাকি পানি সাগরে পতিত হয়।তিস্তা মহাপরিকল্পনার মৌলিক বিষয়টি হবে বর্ষা মৌসুমের পানি ধরে রেখে পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুসারে তা ব্যবহার করা। তিস্তা ব্যারাজের উজানে ১২ কিলোমিটার অংশে বড় জলাধার ও আরও বড় একটি ব্যারেজ নির্মাণ,তিস্তার আশপাশে দিয়ে প্রবাহিত নদনদী,পুকুর-বিলসহ সমস্ত জলধারগুলোকে সংযুক্ত করে সেসবে পানি ধরে রাখতে নানা কর্মকান্ড ও অবকাঠামো,শাখা-উপনদীগুলোকে উন্মুক্তকরণ শাখা-প্রশাখা ও উপনদী খনন করা অপরিহার্য। নব্বই দশকে বন্যা ব্যবস্থাপনার নামে তিস্তার সাথে শাখানদীগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যার ফলে বর্ষাকালে তিস্তার পানি শুধু মূল চ্যানেল দিয়েই প্রবাহিত হয়। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তিস্তার শাখা-প্রশাখা ও উপনদীগুলোতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। উত্তরাঞ্চলের পানির স্তর উপরে উঠে আসবে ঠেকবে মরুকরণ প্রক্রিয়া। তিস্তার জীবনধারা বাঁচিয়ে রাখতে অববাহিকাভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনা ও তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদের পেতেই হবে।কিন্তু চুক্তির অপেক্ষায় দেশীয় ব্যবস্থাপনায় পদ্মা সেতুর মতো তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ আটকে রাখা চলবে না। বর্তমান বিশ্ব প্রকৌশল-প্রযুক্তি বিদ্যায় অনেক এগিয়েছে। নদী সুরক্ষায় বিশ্বপ্রযুক্তি এখন সমৃদ্ধ। তিস্তা সুরক্ষায় পদ্মা সেতুর মতো তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন জরুরী।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সকালের সময়ও দ্যা ডেইলি বেষ্ট নিউজ, ঢাকা।
আমার বার্তা/কমল চৌধুরী এমই