সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নির্মম নির্যাতন ও অব্যাহত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের বাংলাদেশ দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিকের প্রতিনিধির পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ হুমা খান। এবি পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন- কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, সদস্য ব্যারিস্টার ইরতিকা আহমেদ।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে গণমাধ্যমের সামনে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সারা দেশে নারী নির্যাতন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক জুলুম, আওয়ামী লীগের পলিটিকাল এজেন্ডা আদায়ের জন্য মাঠে প্যারা মিলশিয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া, বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ওপর হামলাসহ যেসব অপরাধের সাথে তারা জড়িত ছিল সেগুলো এক জায়গায় আনলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তাদের ব্যাপক মিল পাওয়া যায়। এসব কিছুই আমরা জাতিসংঘের দপ্তরে তুলে ধরেছি। যাতে ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দেশে/বিদেশে ছাত্রলীগের যারা আছেন তারা যেন এইরকম বিশাল আকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন করবার পরেও নিরাপদে বসে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে এটাই হলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাওয়ার অন্যতম কারণ।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধি আমাদের বক্তব্য শুনেছেন, স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তবে যেহেতু এসব বিষয় কার্যকর করার ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোরও একটা ভূমিকা রয়েছে। সেগুলো বিবেচনা করতে হবে।
আমার বার্তা/এমই