
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক কর্মী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি এই ঘটনাকে রাজনৈতিক সহিংসতার ভয়াবহ মানবিক পরিণতির একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক শোকবার্তায় তারেক রহমান বলেন, শরিফ ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড তাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, এই অকাল মৃত্যু আবারও প্রমাণ করে—রাজনৈতিক সহিংসতা একটি জাতির জন্য কতটা বিপর্যয়কর হতে পারে।
শোকবার্তায় তারেক রহমান উল্লেখ করেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন সাহসী ও প্রতিবাদী রাজনৈতিক কর্মী। অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে তিনি আন্দোলনে অংশ নেওয়া যোদ্ধাদের অধিকার রক্ষা, গণতন্ত্রের চর্চা এবং জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, তিনি মরহুমের শোকাহত পরিবার, স্বজন ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি মনে করেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান শরিফ ওসমান হাদি। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পল্টন এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

