বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট (বারি) মহাপরিচালক (ডিজি) ডঃ মোঃ আব্দুল্লাহ ইউসুফ আখন্দ এর সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সিদ্ধান্তের কারনে পদোন্নতি পায়নি ঐ দপ্তরের কর্মরত সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ মোঃ নুরে হাবিব। চাকুরীর বিধি অনুযায়ী তার সহকারী পরিচালক(প্রশাসন) থেকে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর প্রশাসনিক কার্যক্রম কেমন চলছে-? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এক নিরপেক্ষ অনুসন্ধানে জানা যায়- বারির প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আবু সাঈদ মোঃ নুরে হাবিব- তার দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) এর শূূন্য পদে পদোন্নতি পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মহাপরিচালক বারি-বরাবরে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেন চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল তারিখে। আবেদনকারী তার - নিকটকর্তৃপক্ষ উপ পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান খন্দকার কর্তৃক তার দপ্তরের স্মারক নং- ১২.২১.০০০০.০০০.০০৫.৭১.০০৫৫.২৪.৪৩৫০. তাং ২৯.০৪.২০২৫ খ্রীঃ আবেদনটি অগ্রায়িত করে মহাপরিচালকের দপ্তরে বারির পরবর্তী ৮১ তম বোর্ড সভায় উপস্থাপনের জন্যে প্রেরন করা হয়। ৮১ তম বোর্ড সভা বিগত ২৪ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় বিগত ৮০ তম সভার কার্য-বিবরনী পরিসমর্থন, বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ৩ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি অনুমোদন সংক্রান্ত আলোচনা হয়। কিন্তু ঐ সভায় সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ মোঃ নুরে হাবিব এর পদন্নোতির বিষয়ে আলোচ্য সূচিতে স্থান পায়নি। কেন পায়নি? তার প্রশাসনিক উত্তর নেই। এরপর বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর ৮২ তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয় চলতি মাসের ৭ তারিখে। ঐ সভায় ও আবু সাঈদ মোঃ নুরে হাবিব এর পদোন্নতির বিষয়ে কার্যতালিকা তথা আলোচ্য সূচিতে অন্তঃভুক্ত করতে অনুমতি দেননি মহাপরিচালক ডঃ মোঃ আব্দুল্লাহ ইউসফ আখন্দ। ফলে আলোচ্য সূচিতে স্থান পায়নি। কেন পায়নি? এর উত্তর খুঁজতে পর্যক্ষেক মহল কৃষি মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।
বারির ৮১ ও ৮২ তম বোর্ড সভায়- কেন আবু সাঈদ মোঃ নুরে হাবিব এর পদোন্নতি বিষয় আলোচ্য সূচিতে যুক্ত করা হলো না? এমন প্রশ্নের উত্তরে কৃষি মন্ত্রনালয়ের একজন যুগ্ম সচিব বলেন- “ আলোচ্য সূচিতে কি কি বিষয়ে আলোচনা হবে- তা নির্ধারন করে বারির নিজস্ব প্রশাসন। আলোচ্য সূচিতে স্থান না পেলে তাঁর খুব বেশী কিছু করনীয় থাকে না”। তবে নিরপেক্ষ অনুসন্ধানে জানা যায়- মহাপরিচালক এর অনিয়মতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী সিন্ধান্তের কারনেই বিষয়টি বোর্ড সভার আলোচ্য সূচিতে স্থান পায়নি।
উল্লেখ্য যে- বিগত ৫ আগষ্ট “দৈনিক আমার বার্তায় - বারির প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, নিম্ন মানের কাজ-ধীরগতি-দূর্নীতি - দূদকের অভিযান- কৃষি মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা”- শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ প্রকাশিত সংবাদে আবু সাঈদ মোঃ নুরে হাবিব- এর পদোন্নতি না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। সেই কারনেই হয়তো ক্ষুব্ধ হয়ে মহাপরিচালক ৮২ তম বোর্ড সভায়- আবু সাঈদ মোঃ নুরে হাবিব এর পদোন্নতির বিষয়টি আলোচ্য সূচিতে আনতে অনুমতি দেননি- এমন ধারনা করছেন- বারির বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ। এ বিষয়ে আরো উল্লেখ করা যেতে পারে- ঐ প্রকাশিত প্রতিবেদনে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত বৈজ্ঞানিক সহকারী মোঃ সোহেল সিরাজ- বিরুদ্ধে অপতৎপরতা ও কাজ না করিয়ে বসিয়ে বসিয়ে বেতন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। তার পরেও মহাপরিচাকের তার উপর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়নি।
উল্লেখ যে- সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ মোঃ নুরে হাবিব এর পদোন্নতির বিষয়ে মহাপরিচালক এর বক্তব্য জানতে তার নির্ধারিতডযধঃং ধঢ়ঢ় নম্বরে- একটি মেসেজ প্রেরন করা হয়। মেসেজটি তিনি দেখেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কোন বক্তব্য দেননি।