দেশের ক্রিকেটে দুর্দান্ত প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও হারিয়ে গেছে এমন কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম বললেই সবার আগে চলে আসে নাসির হোসেন ও সাব্বির রহমান রুম্মনের নাম।
নাসির ও সাব্বিরের প্রতিভা নিয়ে কারো মনে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ নেই। একটা সময়ে দেশের ক্রিকেটের সেরা ফিনিশার ছিলেন নাসির। সে মাঠে থাকা মনেই দলের জন্য বাড়তি প্রত্যাশা ছিল।
কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের কারণে নাসির ও সাব্বির রহমানের প্রতিভা কাজে লাগেনি। তারা কালের আবর্তনে হারিয়ে গেছেন। অথচ তাদের চেয়েও কম প্রতিভা নিয়ে দিনের পর দিন জাতীয় দলে ধারাবাহিক খেলেছেন এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছেন।
শুধু তাই নয়, জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস তো এজন দুর্ভাগা ক্রিকেটার। তার মতো এতটা দুর্ভাগ্য আর কারো ক্রিকেট ক্যারিয়ারে গেছে- দেশের ক্রিকেটে এমনটি হলফ করে বলা মুশকিল।
ইমরুল কায়েস টানা তিনটি ওয়ানডেতে পরপর সেঞ্চুরি করার পরও তাকে জাতীয় দলে রাখা হয়নি। এতটা ফর্মে থাকা সত্ত্বেও তাকে পরের সিরিজেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুন- এ রকম আরও অনেক খেলোয়াড় আছে। তাদের ব্যাপারে নির্বাচকরা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। অনেক খেলোয়াড়ই আছে যারা দুর্ভাগা, অনেক খেলোয়াড়ই আছে যাদের ক্যারিয়ার অনেক ছোট ছিল, হয়তো আরও ভালো করতে পারত।’
বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার আরও বলেছেন, ‘আসলে খেলাটাই এমন। ওই যে আপনার ১৫ জন নির্বাচন করতে হবে, তারপর ১১ জন। সেখান থেকে যারা সুযোগ পায় আসলে তাদের পারফর্ম করারও একটা দায়িত্ব আছে। কেউ বলতে পারে, কেউ কম সুযোগ পেয়েছে; যা ঘটে, সবাই আসলে একরকম সুযোগ পায় না। এটা দেওয়াও আসলে সম্ভব না।’
ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচকদের আস্থাভাজন হওয়ার একটা বিষয় আছে জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আপনার দল আপনি চালাচ্ছেন, সবাইকে আপনি একভাবে বিশ্বাসও করতে পারবেন না, একভাবে সুযোগও দিতে পারবেন না। কাউকে এক ম্যাচ পর মনে হবে, না একে দিয়ে হবে না। আবার কাউকে দেখে মনে হবে না ও পারবে। এ ব্যাপারটা আসলে থাকে। ভুল কিছু না। যেটা হচ্ছে, কেউ কম সুযোগ পাবে কেউ বেশি। যে কম পাচ্ছে তার জন্য সেটাই যথেষ্ট সুযোগ, যে বেশি পাচ্ছে তার জন্য ওটাই যথেষ্ট। ওখান থেকেই একজন খেলোয়াড়ের দায়িত্ব নিজেকে কিভাবে মেলে ধরতে পারবে।’
আমার বার্তা/এমই