ফলোঅনে পড়েও মার্শাল আইয়ুবের সেঞ্চুরি ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ফিফটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ঢাকা মহানগর। যার সৌজন্যে ১৬৬ রানে পিছিয়ে থেকেও খুলনাকে ২০৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে সক্ষম হয় তারা। তবে এনামুল হক বিজয়-ইমরুল কায়েসদের দারুণ ব্যাটিংয়ে অনায়াসে সে লক্ষ্য তাড়া করে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় খুলনা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান করেছিল খুলনা। বিপরীতে মহানগর ২১০ রানে অলআউট হয়ে পড়ে ফলোঅনে। ১৬৬ রানে পিছিয়ে থেকেও মার্শালের ১৫২ ও বিপ্লবের ৭৩ রানের লড়াকু ইনিংসের কল্যাণে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭২ রান তোলে মহানগর। খুলনার শেখ মেহেদী হাসান প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন ৫ উইকেট। অর্থাৎ এই ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার।
২০৭ রানের লক্ষ্য পায় খুলনা। বিজয়ের ৪৭ বলে ৭১ ও ইমরুলের অপরাজিত ৮০ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে চড়ে ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য তাড়া করে খুলনা। টুর্নামেন্টে এটি তাদের প্রথম জয়।
কক্সবাজারে ড্র হয়ে গেল ঢাকা-চট্টগ্রামের ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রাম করেছিল ৩৭১ রান। অন্য দিকে ঢাকার প্রথম ইনিংস থামে ৪০১ রানে। আক্ষেপে পুড়লেন ঢাকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। গতকাল ৯৯ রান করে অপেক্ষায় ছিলেন সেঞ্চুরির। আজ চতুর্থ দিন আর রান যোগ করার আগেই ফিরলেন তিনি। ৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম ৪ উইকেটে ১২৪ রান করলে দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।
কক্সবাজারে আরেক ম্যাচে বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী। বরিশালের দেওয়া ৬৮ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়ে তাড়া করেছে তারা। বরিশাল প্রথম ইনিংসে করেছিল ২০৫ রান, রাজশাহী করে ২৭৫ রান। ৭০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশাল সানজামুল ইসলামের স্পিন ফাঁদে পড়ে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায়। ৬ উইকেট নেন সানজামুল।
বগুড়ায় রংপুরকে হারিয়ে ৪ উইকেটের দারুণ জয় পেল সিলেট। ১৯০ রানের লক্ষ্য ৬ উইকেট হারিয়ে তাড়া করেছে তারা। প্রথম ইনিংসে রংপুর করেছিল ১৫৮, সিলেট করে ১৮৯। ৩১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রানে থামে রংপুরের দ্বিতীয় ইনিংস। ব্যাটারদের ব্যর্থতার সুযোগে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে রেজাউর রহমান রাজা খেলেছেন ৫৯ রানের দারুণ এক ইনিংস। দুই জয় ও ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে সিলেট।
আমার বার্তা/এমই