রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১২ নাম্বার সেক্টর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে সান্তানা ইসলাম (৩৪) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দাবি পরিবারের।
সান্তানা মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কারপাশা গ্রামের মৃত -নুরুল ইসলাম এর ছেলে। বর্তমানে উত্তরা এলাকায় ভাড়া থাকতো।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধা পৌনে ৭ টায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী ফারিয়া ফাইজা আমিন বলেন, আমি একটি বেসরকারি বিমান কোম্পানিতে কেবিন ক্রু হিসেবে চাকরি করি। পাশাপাশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিবিএ করছি। গত বছরের মার্চ মাসে ভালোবেসে আমরা দুজন বিয়ে করি। গত কয়েকদিন যাবত সে আমাকে সন্দেহ করে এবং তার সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রায়ই মনমালিন্যলতা হতো। আজ তাকে ফোন দিয়ে বলেছি তুমি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দাও। এরপর থেকে এসে আমার আর ফোন ধরে না। পরে বিষয়টি তার ভাইদের জানাই এবং আমি নিজেও আসি। পরে বাসায় ঢুকে দেখিসে ফ্যানের সাথে গলায় রশি পেচিয়ে ঝুলে আছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জানায় আমার স্বামী আর বেঁচে নেই। সে আমাকে শুধু সন্দেহ কত এই নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ আমাদের সাথে ঝগড়া হচ্ছিল আমি এখন কি করব। আমার স্বামী তার কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি ডেভলপার কোম্পানির খুলেছিল।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে অচেতন অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল।আনার পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার স্ত্রী জানায় তার সাথে পারিবারিক কলহের জেরে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা বিষয়টি উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
আমার বার্তা/এম রানা/এমই