রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ বরণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মহড়ায় অংশ নিয়েছেন প্রায় দেড়শত শিল্পী। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় চূড়ান্ত মঞ্চে চূড়ান্ত মহড়া শুরু হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টা থেকে শুরু হবে মূল পরিবেশনা। এতে অংশগ্রহণ করবেন নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রায় দেড়শত শিল্পী। থাকবে বৈশাখী গান ও কবিতা। মোট ২৪টি পরিবেশনার মধ্যে ৯টি সম্মিলিত গান, ১২টি একক গান ও কবিতা থাকবে তিনটি। এবারের নববর্ষের মূল কথন পাঠ করবেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।
ছায়ানটের বর্ষবরণ প্রস্ততি কমিটির সদস্য আমিনুল কায়সার দীপু জানান, বাংলা ১৪৩২ বরণ অনুষ্ঠান উদযাপনে এবারের মঞ্চের আকার অর্ধবৃত্তাকারে ৭২ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থ। তিনি জানান, গত তিন মাস ধরেই ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনে মহড়া চলছিলো।
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লোহার পাইপের কাঠামোর ওপর নির্মিত মঞ্চে প্রতিটি শিল্পীর জন্য আলাদা বসার স্থান ও মাইক্রোফোন রাখা হয়েছে। সেখানে শিল্পীদের বসার বাচনভঙ্গি ঠিক করে দিচ্ছেন সিনিয়র শিল্পীরা। সামনে সাউন্ডবক্সসহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে মিল রেখে সূর ও কণ্ঠ ঝালাই করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, মহড়ায় শিল্পীদের পোশাকের বিষয়টি বাধ্যবাধকতায় আনা হয়নি। তবে মূল পরিবেশনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষরা পরবেন মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। আর নারীরা পরবেন মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। শাড়ির কপাটের সঙ্গে মিল রেখে ইতোমধ্যে মঞ্চের ডিজাইনেও স্থান পেয়েছে মেরুন রঙ। যদিও গত বছর এর রং ছিল সবুজ।
এবারের বাংলা নববর্ষের মূল বার্তা আমার মুক্তি আলোয় আলোয়। আলো, প্রকৃতি, মানুষ দেশপ্রেমের গান।
আমার বার্তা/এমই