হিমাগারে আলু রাখার ভাড়া প্রতি কেজিতে এক টাকা বাড়িয়ে আট টাকা করেছে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন।যাহা সকল হিমাগার মালিকগন, বানিজ্য মন্ত্রনালয়,কৃষি মন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন।
আগে এক বস্তায় ৮০ কেজি আলু রাখা গেলেও শ্রম আইন অনুযায়ী তা বেআইনি। ৫০ কেজির বেশি রাখা যাবে না এটা বাধ্যতামূলক, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী।
হিমাগার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন বলছে, চলতি মৌসুমে কেজিপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ আট টাকা, যা গত বছর সাত টাকা ছিল। এবার কেজিপ্রতি এক টাকা বেড়েছে। তবে আগের মতো ৫০ কেজির ঊর্ধ্বে বস্তা রাখার সুযোগ থাকছে না।বলে কিছু অসাধু আলু ব্যবসায়ী হিমাগাড়ের নামে অযুক্তিক ভিত্তিহীন অপ্রচার চালাচ্ছেন।
কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘গতবছর কৃষকরা বস্তাপ্রতি ৩৮০ টাকা বস্তা দরে ৬০/৬৫ কেজি পর্যন্ত আলু রাখতেন। তারা কেজির হিসাব কখনো করেননি। ওইসব বস্তায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ৬০ থেকে ৮০ কেজি পর্যন্ত আলু রাখতো। বাড়তি আলুর জন্য আমরা কোনো ভাড়া নেইনি। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৫০ কেজির বেশি বস্তা রাখবো না সরকারী আইন অনুযায়ী। সেটা হিসাব করে কৃষকদের ভাড়া দ্বিগুণ হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন এর নির্বাহী সদস্য,
এম শরীফুল ইসলাম বাবু বলেন,
এক শ্রেনীর অসাধু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী বাংলাদেশের হিমাগার শিল্প কে ধ্বংসের লক্ষ্যে আলুর ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে,ভিন্ন ভাবে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করে পরিকল্পিত ভাবে হিমাগার মালিকদের টার্গেট করে মিথ্যা নিউজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন এর কার্যনির্বাহী পরিষদ-২০২৩-২০২৫এর ১০ম সভায় গত ২৩ শে নভেম্বর ২০২৪ মিটিং করে আগামী মৌসুমে প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ০৮/=(আট)টাকা নির্ধারন করেছে।
এর পরে নিয়ম মাফিক এসোসিয়েশন এর সকল সদস্য এবং সরকারী সকল মনিটরিং সংস্থাকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে এবং ভাড়া বৃদ্ধির সাপেক্ষে সকল যৌক্তিক কারন তুলে ধরা হয়েছে।এখানে কোন ধরনের কৌশল এবং লুকোচুরির ব্যাপারের প্রশ্নই উঠে না।
এ ধরনের নেতীবাচক কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ করছি একজন হিমাগার মালিক হিসেবে এবং সেই সাথে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন,
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর কৃষি মন্ত্রনালয় ও বানিজ্য মন্ত্রনালয় সহ আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।