পিছিয়ে পড়া মানুষ বা জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয় ভাতা, যা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নামেই পরিচিত। এ কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগেই। এবার সরকার থেকেও বলা হলো, সুবিধাভোগীদের অর্ধেকই ভুয়া।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মোর্শেদ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেটালে এক সেমিনারে এ তথ্যই জানিয়েছেন।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে সেমিনারটির আয়োজন করে বিশ্ব ব্যাংক। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শারমিন মোর্শেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মোমতাজ আহমেদ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন, বিশ্বব্যাংকের সামাজিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অভিরুপ সরকার।
সেমিনারে উপদেষ্টা শারমিন মোর্শেদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের তথ্যমতে, দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ সুবিধাভোগী ভুয়া। প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচনে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি যুক্ত করছি। ইতোমধ্যেই এমআইএস সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এতে সুবিধাভোগী নির্বাচনে অনিয়ম কমবে। একইসঙ্গে একটি ড্যাসবোর্ড স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী মনিটরিং সিস্টেমের বিকল্প নেই। কর্মসূচিগুলোকে উৎপাদনশীল করতেই হবে। তাহলে সরকারি অর্থের প্রকৃত ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
সেমিনারে বক্তারা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিবর্তনের কথা বলেন। পাশাপাশি কর্মসূচিগুলোকে উৎপাদনমুখী করার তাগিত দেন। তারা বলেন, পরিবর্তন এনে কর্মসূচিগুলোকে উৎপাদনমুখী করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দিনের পর দিন শুধু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে না। নগদ টাকার সঙ্গে ‘প্লাস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ, লাইফ স্কিল, উৎপাদন বৃদ্ধির নানা কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয় শেখানো হবে। যাতে উপকারভোগীরা নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারেন।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুর্বলতা কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে ‘নগদ প্লাস’ পরিষেবাগুলোর সঙ্গে নগদভিত্তিক প্রোগ্রামগুলো একত্রিত করতে হবে।
আমার বার্তা/এমই