ই-পেপার বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১
বাদ যাবে বঙ্গবন্ধুর নাম

পরিবর্তন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা

আমার বার্তা অনলাইন
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৫

২০২২ সালের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া তৈরি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

খসড়া অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাদ যাচ্ছে। যারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি তাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে রাখা হবে। এজন্য ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর’ সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে সংশোধিত আইনে নির্ধারণ করা হচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ সংজ্ঞা।

সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে এর আগে যারা বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেয়েছেন তাদের সনদ বাতিল হয়ে যাবে।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতামত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

বর্তমান আইনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা আছে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়া যাঁহারা দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিয়াছেন এবং ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হইয়া দখলদার ও হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম ও মুসলিম লীগ এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, মুজাহিদ বাহিনী ও পিচ কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করিয়াছেন এইরূপ সকল বেসামরিক নাগরিক এবং সশস্ত্র বাহিনী, মুজিব বাহিনী, মুক্তি বাহিনী ও অন্যান্য স্বীকৃত বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, ইপিআর নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার বাহিনীর সদস্য এবং নিম্নবর্ণিত বাংলাদেশের নাগরিকগণ, উক্ত সময়ে যাঁহাদের বয়স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বয়সসীমার মধ্যে, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য হইবেন’।

বর্তমান সংজ্ঞায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেননি এমন আট ধরনের ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ভারতে গিয়ে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, যারা বিদেশে থেকে যুদ্ধের ওপর জনমত গঠন করেছেন, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী-দূত, মুজিবনগর সরকারে সম্পৃক্ত এমএনএ এবং যারা পরবর্তীতে গণপরিষেদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন, বীরাঙ্গনা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক; স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সব খেলোয়াড়, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া মেডিকেল দলের সব সদস্যদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল।

সংশোধিত অধ্যাদেশের খসড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হইয়া হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এমন সকল বেসামরিক নাগরিক ওই সময়ে যাদের বয়স সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে ছিল এবং সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তি বাহিনী, বিএলএফ ও অন্যান্য স্বীকৃত বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্ট (ইপিআর), নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স ও আনসার সদস্য তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য হবেন। বেসামরিক নাগরিক বলতে যে সকল ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন; হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাহাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিতা সকল নারী (বীরাঙ্গনা); মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া ফিল্ড হাসপাতালের সকল ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা-সহকারীকে বুঝাবে।

যারা বিদেশে থেকে যুদ্ধের পরে জনমত গঠন করেছেন, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী-দূত; মুজিবনগর সরকারে সম্পৃক্ত এমএনএ এবং যারা পরবর্তীতে গণপরিষেদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলা বেতর কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সব খেলোয়াড়দের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে রাখা হয়েছে খসড়া অধ্যাদেশে।

মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা থেকে শুধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের নতুন সংজ্ঞা বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খায় হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ’।

বর্তমান আইনে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ অর্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়া দখলদার ও হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম ও মুসলিম লীগ এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, মুজাহিদ বাহিনী ও পিচ কমিটির বিরুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধ।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা চূড়ান্ত হলে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন।

খসড়া অধ্যাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বা প্রবাসে অবস্থান করে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে সংগঠকের ভূমিকা পালন, বিশ্বজনমত গঠন, কূটনৈতিক সমর্থন অর্জন এবং মনস্তাত্বিক শক্তি অর্জনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের যেসব নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করেছেন।

সংশোধিত আইনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ সংজ্ঞা যুক্ত করা হচ্ছে। এতে বলা হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ অর্থ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের পক্ষে মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত বাংলাদেশের জনগণের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতকল্পে যে চেতনা।

আমার বার্তা/জেএইচ

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ

আখেরি মোনাজারের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি)

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত: শফিকুল আলম

আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক এবং গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত বলে মন্তব্য করেছেন

হাসিনার ভাষণের সময় গণহত্যার ভিডিও-ছবি দেখাবে বৈষম্যবিরোধীরা

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে দেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে

শ্রম আইন আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যেতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ

পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ রাখতে ফের সংসদে সরব তৃণমূল কংগ্রেস

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত: শফিকুল আলম

আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ

নারায়ণঞ্জে তিনদিনের রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : ফাঁসির ৯ জনসহ সব আসামি খালাস

আ.লীগের লিফলেট বিতরণ করা সেই বিসিএস কর্মকর্তা কারাগারে

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার শাহজাহান ওমর-মামুন-আছাদুজ্জামান

গাজীপুরে পিকআপভ্যান খাদে পড়ে তিনজনের মৃত্যু

পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

হাসিনার ভাষণের সময় গণহত্যার ভিডিও-ছবি দেখাবে বৈষম্যবিরোধীরা

ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপে আরও ২ মুসল্লির মৃত্যু

চুক্তি শেষ জ্যোতিদের প্রধান কোচের, নতুন সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

রূপপুর প্রকল্পে আত্মসাতের অর্থে লন্ডনে বাড়ি কিনেছেন টিউলিপ

শ্রম আইন আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যেতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা জাতীয় উন্নয়নে বড় হুমকি

বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজও শীর্ষে ঢাকা

সুইডেনের একটি স্কুলে গুলি, নিহত ১০

উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব