অর্থনৈতিক সংকটকালীন অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের নতুন পথ দেখাল গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা এবং আত্মা। এর জন্য বিদ্যমান তামাক কর ও মূল্য কাঠামোর পরিবর্তন।
বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম স্তর দুটিকে একটি স্তরে রূপান্তর করে প্রতি ১০ পিস সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের ১০ পিস সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা। এছাড়া খুচরা মূল্যের ওপর ৬৭% সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সাংবাদিকদের জন্য তামাক কর ও মূল্য কাঠামো বাজেট সংক্রান্ত শীর্ষক কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি। সেখানে আরও বলা হয়, রাজস্ব আদায় বাড়াতে ফিল্টারবিহীন ২৫ পিস বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ পিস বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা। পাশাপাশি এ মূল্যের ওপর ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
এছাড়া প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করাসহ খুচরা মূল্যে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এছাড়া সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখা। প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সের (আত্মা) পক্ষ থেকে বলা হয় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী প্রায় নয় লাখ তরুণসহ মোট ১৭ লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।
রাজধানীর বিআইপি কনফারেন্স রুমে ওই কর্মশালায় বলা হয়, সিগারেটে ৪টি মূল্যস্তর (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ এবং প্রিমিয়াম) থাকায় তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করছে না। বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম কাছাকাছি হওয়ায় ভোক্তা যে কোনো একটি স্তরের সিগারেট বেছে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ানো হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং তরুণ প্রজন্ম ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে। একইসঙ্গে, তামাকখাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা এবং আত্মা আয়োজিত ২টি কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত মোট ৫০জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালাগুলোতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক জনকন্ঠের সিটি এডিটর কাওসার রহমান, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, আত্মার কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের, মো. হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ।
আমার বার্তা/এমই