গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে বিভিন্নভাবে ভূলুন্ঠিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ী রূপ দিতে পারলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা বারবার পর্যুদস্ত হয়ে একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক শাসনে পরিণত হয়েছে।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাভূত করে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দীর্ঘদিনের যে ফ্যাসিবাদী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো এদেশের মানুষের বুকের ওপর বসে ছিল, তার বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে লড়াই, অকুতোভয় সংগ্রাম এবং প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সে শাসনকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়েছে; যা বাংলাদেশকে রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে অগ্রসর করেছে।
আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ছাড়াও সামান্তা শারমিন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সারোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন এবং নাহিদা সারোয়ার নিভা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।
এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। গত ২৩ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি কমিশন বরাবর তাদের মতামত জমা দেয় ৷ সে প্রেক্ষিতে দলটির সাথে আজ আলোচনায় বসে কমিশন৷
আমার বার্তা/এমই