বিভিন্ন অজুহাতে সরকার নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তারা চায় তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। তাই অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।
শুক্রবার (৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, আত্মমর্যাদা, দেশে-বিদেশে সম্পদ রক্ষা ও আগামী নির্বাচন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, বর্তমানে দেশের প্রায় এক কোটি প্রবাসী বিদেশে বসবাস করছেন। তবে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। গত ১৭ বছর ধরে দেশের জনগণও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সংস্কার কার্যক্রম চলছে। আশা করছি, জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। অনেক ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, যার মাধ্যমে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি।
রেমিটেন্স যোদ্ধাদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, রেমিটেন্স যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিতে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। গার্মেন্টস সেক্টরের অর্থনৈতিক অবদানও তার হাত ধরেই এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি তাকে আজীবন স্মরণ করা দরকার।
প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে বিএনপি সবসময় একমত জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, শুধু কীভাবে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। প্রবাসীদের সম্পদ রক্ষা করাও সরকারের দায়িত্ব। শুধু প্রবাসীদের নয়, দেশের সব সম্পদ রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য এম এ মালিক বলেন, সিলেটসহ সারা দেশে প্রবাসীদের তৈরি করা বাড়িঘর বিগত স্বৈরাচার সরকার দখল করে নিয়েছিল। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, যাদের রেমিটেন্সে দেশ চলে, তাদের সম্পদ রক্ষা এবং ভোটাধিকার দ্রুত নিশ্চিত করুন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এমনকি মাটি পর্যন্ত তুলে নিয়েছে।
প্রবাসী পরিবার ২৪-এর সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি এম জাকারিয়া, আমেরিকার সজিব ওয়াজেদ জয়ের মামলার আসামি মাহমুদউল্লাহ মামুন (ইউএস), ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু (যুক্তরাজ্য), অ্যাডভোকেট পারভেজ (যুক্তরাজ্য) প্রমুখ।
আমার বার্তা/জেএইচ