ই-পেপার মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক্সরে করে দালাল আর সুইপাররা

মাসুদ রানা
প্রিন্ট ভার্সন
০৭ মে ২০২৪, ১১:০৭
আপডেট  : ০৭ মে ২০২৪, ১১:১১

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক্সরে বিভাগ কি এখন বহিরাগত দালাল আর সুইপারদের দখলে ? হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকের কাছ থেকে এই অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন অনুসন্ধান করতে গিয়ে বের হয়ে এসেছে এর সত্যটা। এই বহিরাগত দালাল আর সুইপারদের রয়েছে ৬ সদস্যের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। বহিরাগত এই ৬ জন পুরো এক্সরে বিভাগকে জিম্মি করে রেখেছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে এক্সরে বিভাগে বসে তারা নিজেরাই রোগীর কাগজপত্র দেখেন, মেশিন চালিয়ে এক্সরে করেন। আর তাদের করা সেই এক্সরে প্লেট দেখেই চিকিৎসা সেবা দেন চিকিৎসকরা। এদের ভয়ে চুপ করে থাকেন এক্সরে বিভাগের আসল টেকনিশিয়ান আর চিকিৎসকরা। কারণ, এই ৬ জনের নেপথ্য শক্তি হচ্ছে হাসপাতালেরই একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আর তার কারণেই সাধারণ চিকিৎসকরা সব দেখলেও শুধুমাত্র দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আক্ষেপ করা ছাড়া প্রতিবাদ করার সাহস পান না।

চিকিৎসকদের এই আক্ষেপ আর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমার বার্তার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই বহিরাগত সিন্ডিকেটের সদস্যরা হচ্ছে দালাল চুইল্যা কাশেম, হাবিব, বাবলী, পিয়ারা বেগম, জুনিয়র কাশেম আর সুইপার সাইদুর। এরা ৬ জনই বহিরাগত এবং হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কোনো কর্মচারী নয়। এদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বোচ্চ ৫ম শ্রেণি। হাসপাতাল সূত্র মতে, এরা সবাই হাসপাতালের পরিচালনা ও প্রশাসন বিভাগের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিশেষ নিয়োগপ্রাপ্ত ও আশীর্বাদপুষ্ট। এই ৬ সদস্য তাদের ইচ্ছেমতো রোগীদের কাছ থেকে এক্সরে করার নামে টাকা আদায় করে এবং এই টাকার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ দিতে হয় ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে। বহিরাগত হলেও টেকনিশিয়ান না হয়ে এরা কিভাবে এক্সরে মেশিন পরিচালনা করেন এবং তারা কোথা থেকে এই কাজ শিখেছেন সেটাও কারো জানা নেই। জানলেও কেউ মুখ খুলতে চান না।

সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ নম্বর ভবনের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের ১১৭ নং কক্ষে ( এক্সরে রুম) গিয়ে দেখা যায় ঢামেক হাসপাতালের সুইপার (স্টাফ নয়) সাইদুর রহমান এক্সরে মেশিন পরিচালনা করছেন। রোগীর অভিভাবক সেজে পাশে দাঁড়িয়ে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, সুইপার সাইদুর রোগীদের এক্সরে মেশিনের সামনে দাঁড় করাচ্ছেন, শোয়াচ্ছেন আবার কখনো বসিয়ে এক্সরে করছেন। হঠাৎ করে তিনি টের পেয়ে যান, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীর অভিভাবক আসলে সাংবাদিক। এক পর্যায়ে রোগী ফেলেই তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। প্রায় ঘণ্টা খানেক পেরিয়ে গেলেও ওই কক্ষে আর ফেরেননি তিনি। তখন উপস্থিত রোগী ও স্বজনরা বিড়ম্বনায় পড়েন। অথচ তারা নিজেরাও জানেন না যে তাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষার কাজটি করছেন একজন সুইপার। যখন এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে তারা জানতে পারেন সাইদুরের পরিচয়, তখন তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক টেকনিশিয়ান শিক্ষা, নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার অপারেটিং শিক্ষা, নেই এক্সরে মেশিন পরিচালনার শিক্ষা, বরং যিনি একজন সুইপার, তিনি কিভাবে একটি সরকারি হাসপাতালের ভেতর ঢুকে এভাবে প্রকাশ্যে এক্সরে মেশিন পরিচালনা করছেন।

এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে প্রতিবেদককে ম্যানেজ করতে দৌড়ঝাপ শুরু করেন একজন ওয়ার্ড মাস্টার ও রেডিওলজি বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা বলেন, মাফ করে দিন। ভবিষ্যতে সুইপার সাইদুর আর এ ধরনের কাজ করবেন না।

এইতো গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকের আরেকটি ঘটনা। একই কক্ষে দেখা মিলল বহিরাগত দালাল হাবিব ও আবুল কাশেমের। টেকনিশিয়ানের পরিবর্তে তারাই টেকনিশিয়ানের কাজ করছেন। রোগীদের এক্সরে করছেন। এক্সরে কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার চালাচ্ছেন। রীতিমতো চোখ কপালে উঠার মতো বিষয়। এ সময় ওই কক্ষের দায়িত্বরত টেকনিশিয়ান জুলফিকার আলী পাশের অন্য একটি রুমে অসহায়ের মতো বসে ছিলেন। তাকে সাথে নিয়ে এই প্রতিবেদক এক্সরে কক্ষে এসে ওই দুই বহিরাগত দালাল সম্পর্কে জানতে চাইলে জুলফিকার তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, ওরা আসলে কাজ শিখছেন। দালাল কাশেম ও হাবিব জানান, তারা একজন তৃতীয় শ্রেণি ও আরেকজন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। আশরাফ নামে হাসপাতালের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে তারা এখানে কাজ করেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান আমার বার্তাকে বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আনসার সদস্য পাঠিয়ে বহিরাগত দালাল হাবিব ও কাশেমকে আটক করে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করেন। ভবিষ্যতে যেনো এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

আমার বার্তা/জেএইচ

পুলিশ-ওয়ার্ড মাস্টারের নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চারপাশের দেয়াল, ফুটপাত আর রাস্তা ঘিরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ছয় শতাধিক

বদলির দুই মাসেও নতুন কর্মস্থলে যাননি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বদলি হওয়ার দুই মাসেও নতুন কর্মস্থলে যাননি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরে উপসহকারী প্রকৌশলী

উন্নয়নকাজের খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তি নগরবাসীর

রাজধানীর কোথাও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করতে সিটি করপোরেশন সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করছে। কোথাও আবার স্যুয়ারেজ লাইন

স্পেশাল ম্যাংগো ট্রেন চালুর উদ্যোগ

  পঞ্চমবারের মতো এবারও স্পেশাল ম্যাংগো ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে। এই ট্রেনটি বিগত বছরে চলেছে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মারা গেলেন বরেণ্য সাহিত্যিক হোসেনউদ্দীন হোসেন

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবরে বেড়েছে তেলের দাম

রাইসির মৃত্যু মুসলিম বিশ্বের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: ফখরুল

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

বৃক্ষ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ক গবেষণা বৃদ্ধি করা হবে

১২৬ দেশে যেতে জটিলতা কাটছে বাংলাদেশিদের

সিইসির বেতন ১০৫০০০, ইসিরা পাবেন ৯৫০০০

ভারত থেকে রেলের ২০০ বগি কেনার চুক্তি সই

রাজধানীতে গরমে আনসার সদস্যের মৃত্যু

তাপপ্রবাহ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাউশির নতুন নির্দেশনা

বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক ঘোষণা, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক

অটোরিকশা চলাচলে নীতিমালা করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অর্থনীতি শূন্যে ঝুলছে, যেকোনো সময় ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে: রিজভী

ব্যাটারিচালিত রিকশা নির্দিষ্ট এলাকায় চালানোর ব্যবস্থার নির্দেশ

দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা দুই দলের সঙ্গেই জেতা উচিত: মাশরাফি

বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক

খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিতে দক্ষরা বিশেষ মেধাসম্পন্ন: জবি উপাচার্য

বিসিবির এইচপি দলে জায়গা পেলেন যে ২৫ ক্রিকেটার

কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত