ই-পেপার বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শতকোটি টাকার দুর্নীতি করেও নিরবেই অবসরে যাচ্ছেন হাবিবুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ মে ২০২৫, ১১:৫৭
আপডেট  : ২১ মে ২০২৫, ১২:০১
শতকোটি টাকার দুর্নীতি করেও নিরবেই অবসরে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ অর্থ পরিচালক সৈয়দ মোঃ হাবিবুর রহমান।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর অবকাঠামো নির্মাণের বিভিন্ন প্রকল্পের বাজেট তছরুপ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ অর্থ পরিচালক সৈয়দ মোঃ হাবিবুর রহমান। স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীর সাথে একজোট হয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থায় তিনি লুটেছেন শত কোটি টাকা। নিজেকে খুবই খানদানি ও ধনী পরিবারের সন্তান হিসেবে দাবি করা এই সৈয়দ হাবীবুর রহমান পৈত্রিক সূত্রেই নাকি শতকোটি টাকার মালিক।

রাজধানী ঢাকার কাফরুলে স্থানীয় সৈয়দ হাবিবুর রহমান ও তার পরিবার দানবীর পরিবার হিসেবে সুপরিচিত। তার আপন বড় ভাই কাশেম একজন সুপরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা। ২০১৮ সালে রাতের ভোটের নির্বাচনে বড়ভাই কাশেম এমপি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা তাকে অন্য বড় কোথাও বসানোর আশ্বাস দিলে তিনি আর মনোনয়নপত্র জমা দেননি। সৈয়দ হাবিবুর রহমানের দুর্নীতির খবর জেনে যাওয়ায় তারই অফিসের অ্যাকাউন্ট সেকশনের সৎ কর্মকর্তা সিরাজ কে চাকুরী জীবন শেষ হওয়ার পূর্বেই এই হাবিবুর রহমান চক্রান্ত করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান। ওই পদে এখন তিনি নিয়োগ দিয়েছেন মুরাদ নামের একজন ব্যক্তিকে। এই মুরাদই এখন সৈয়দ হাবিবুর রহমানের দুর্নীতির অন্যতম সহযোগী। অধিদপ্তরের ক্যাশিয়ার আইয়ুবুর রহমান আকন্দ তার আরেক সহযোগী। আইয়ুবুর রহমানই সৈয়দ হাবিবুর রহমানের নির্দেশে টাকার হিসেবে নয় ছয় করে লোপাটকৃত টাকার হিসেব মিলিয়ে দেন। বিনিময়ে আইয়ুব এর পকেটও ভারী হচ্ছে কোটি কোটি টাকায়।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অন্যতম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেনের সাথে মিলে দুর্নীতিবাজ এই অর্থ পরিচালক সৈয়দ হাবিবুর রহমান লুটেছেন শত কোটি টাকা। রাজধানী ঢাকায় নামে বেনামে গড়েছেন অগাধ সম্পদ। মে ২০২৪ এর শেষে তিনি অবসরে যাবেন।

ক্ষমতার পালা বদলে আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পরিবর্তন হলেও অর্থ পরিচালক দুর্নীতিবাজ সৈয়দ হাবিবুর রহমান রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তার বিরুদ্ধে যেন বিভাগীয় কোন তদন্ত না হয় সেজন্য নবনিযুক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও স্বাস্থ্য সচিব কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছেন। এছাড়া গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ রাখতে তিনি ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিকে কর্মরত বরিশাল বিভাগের এক সাংবাদিককে অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যবহার করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সৈয়দ হাবিবুর রহমানের হয়ে কাজ করা "জ" অদ্যাক্ষর নামীয় ওই সাংবাদিক পল্টনে শেয়ারে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক এবং নিয়মিত জুয়া খেলেন। আর এক মাস পর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ এই অর্থ পরিচালক সৈয়দ মোঃ হাবিবুর রহমান অবসরে গেলে এমনিতেই তিনি চলে যাবেন লোকচক্ষুর অন্তরালে।

অধিদপ্তরে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এই প্রতিবেদককে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সৈয়দ হাবিবুর রহমান বিগত সরকার আমলে উন্মুক্তভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুট করে এখন চাকরি থেকে অবসরের পথে। একবার অবসরে চলে গেলে তাকে নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামাবে না। তার বিষয়ে তদন্ত করলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে যাবে। তাই অবিলম্বে তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা অধিদপ্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের প্রানের দাবি।

এ বিষয়ে সৈয়দ হাবিবুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে, তিনি মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন "একজন সাংবাদিক আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনার জন্য ১ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছি। দয়া করে নিউজটা করবেন না।" প্রতিবেদক টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে হুমকি দেন।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ অর্থ পরিচালক সৈয়দ মোঃ হাবিবুর রহমানের বিলাসী জীবন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাথে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ ও অর্থ kকেলেঙ্কারি নিয়ে অনুসন্ধান চলমান। শীঘ্রই অনুসন্ধানের বিস্তারিত তথ্য সম্মানিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে পরবর্তী পর্বে তুলে ধরা হবে। পর্ব (১)

আমার বার্তা/জেএইচ

এক এজেন্সির হাতে জিম্মি মধ্যপ্রাচ্য রুট

এক ট্রাভেল এজেন্সির কাছে জিম্মি মধ্যপ্রাচ্যগামী এলারলাইন্সগুলো। প্রায়শই ওই রুটে টিকিট মূল্য কারসাজি করা হয়।

খিলগাঁও সাব-রেজিস্ট্রার মাইকেলের লাগামহীন দুর্নীতি

 ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন  আওয়ামীপন্থি পরিচয়ে দখলে রেখেছেন পছন্দের স্থান  দুর্নীতি করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড় ঢাকার

নানা কায়দায় পাপমোচনের মিশনে স্বৈরাচারের দোসর তাপস পাল

 মন্দিরের সম্পত্তি দখল ও হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ  আ.লীগের দোসর হয়েও সুযোগ পেয়েছেন সেনা প্রধানের সান্নিধ্যে যাওয়ার স্বৈরাচার

আ.লীগের দোসর হয়ে এখনো দাপুটে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ

ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে গেলেও বিভিন্ন দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকা দলটির দোসর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে

অপসারণ নয় নিজ থেকেই সরে যেতে চান পররাষ্ট্রসচিব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে অর্থনীতি সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়

রায় কাল, আজ রাত যমুনার সামনেই কাটাবেন ইশরাক হোসেন

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট কমেছে, দুই দিনে কমলো এক হাজার টিইইউ

কোস্ট গার্ডের অভিযানে অবৈধ বালু উত্তোলনের সময় অস্ত্র, গোলাবারুদসহ আটক ৮

জুনে রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৭ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর মনসুর

সচিবালয়ের সামনে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালন

চা রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার : বাণিজ্য উপদেষ্টা

পবিপ্রবিতে হঠাৎ আগমন পরিকল্পনা উপদেষ্টার

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৫ টাকা বাড়ালো টিসিবি

আকাশপথে পণ্য পরিবহনে কার্গো চার্জ কমানোর সুপারিশ বেবিচকে’র

কিস্তিতে স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে বাংলালিংকে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে গেছে: ফারুক

৪৬তম লিখিত ও ৪৭‘র প্রিলি পরীক্ষার নতুন সময় সূচি প্রকাশ

পাকিস্তান সফরে যাবেন না নাহিদ রানা ও দুই কোচ

বাজেটে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি

গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে শিশুরা, চাপ বাড়লেও থামছে না ইসরায়েল

শিক্ষার্থীদের নতুন শপথবাক্য, যোগ হলো দুর্নীতি না করার প্রত্যয়

শিক্ষক নিয়োগে সচিবের মতামত চান ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ