রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি বাসা থেকে মাকসুদা আক্তার মুক্তা (৩৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মাকসুদা আক্তার মাদারীপুর সদরের হারুন বেপারীর মেয়ে। বর্তমানে খিলগাঁও ব্লক-সি ৫৯৬/১ নম্বর বাসার নয়তলা ভবনের ছয় তলায় স্বামী এবাদুজ্জামান শিমূলের সাথে এক মেয়ে এক ছেলে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাসুর কাজী রফিকুজ্জামান জানান, আজ বিকেলের দিকে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর উপর অভিমান করে নিজ রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় মাকসুদা আক্তার মুক্তা। পরে অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তার কোন সারা শব্দ না পেয়ে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেখি গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলে আছে সে। আমরা দ্রুত বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশের সহায়তায় অচেতন অবস্থায় মুক্তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানায়, মুক্তা আর বেঁচে নেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন খিলগাঁও থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) মো. আশরাফুল হক।
তিনি জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের বাসা থেকে ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত অচেতন দেহটি আমরা উদ্ধার করি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা জানতে পারি পারিবারিক কলহের জেরে ওই গৃহবধূ এই ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারেন। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই আশরাফুল হক।
আমার বাতা/এম রানা/এমই