রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে ১২ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সায়েদাবাদের আনোয়ারা আবাসিক হোটেলের পাঁচতলার একটি কক্ষ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশুটির পরোনে ছিল চেক শার্ট ও জিন্স প্যান্ট। মরদেহে ঘাড় মটকানোর ও শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তার চোখে ও পায়ুপথে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা শিশুটির ওপর যৌন সহিংসতার ইঙ্গিত দিতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. হাসান বশির গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১২ জুলাই আল-আমিন নামে এক ব্যক্তি আনোয়ারা হোটেলের একটি কক্ষে ওঠেন। পরদিন ১৩ জুলাই বিকেলে একটি শিশুকে তিনি সঙ্গে করে রুমে আনেন এবং পরে রুমে রেখে বাইরে চলে যান। ওইদিন রাতে আর ফিরে আসেননি।
তিনি আরও বলেন, ১৪ জুলাই বেলা ১১টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ আল-আমিনের অনুপস্থিতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এবং রুমে গিয়ে শিশুটির মরদেহ দেখতে পায়। পরে তারা বিষয়টি আমাদের জানায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচতলার ওই কক্ষের বিছানা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করি। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই হাসান বশির বলেন, আল-আমিন প্রায়ই এই হোটেলে অবস্থান করতেন বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড মনে হলেও তদন্ত সাপেক্ষে ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
আমার বার্তা/এল/এমই