মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন রিমার্ক কোম্পানির প্রবেশ গেটে জমি লিখে নেওয়া ভুক্তভোগী পরিবারের আমরণ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রলি) সকাল ৭টায় কোম্পানির অফিস সংলগ্ন গেটে শান্তিনগর গ্রামের মৃত হাজী আদম আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম, মেয়ে আয়েশা বেগম, রাবেয়া বেগম, নাতি ওমর ফারুক, নাতনি মিনা ও মনিরাসহ এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে এই কর্মসূচি শুরু হয়। অবস্থান, প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে তারা নিজেদের দাবি তুলে ধরেন।
ভুক্তভোগী পরিবার এবং এলাকাবাসী এক ঘণ্টা কোম্পানির প্রধান প্রবেশ গেট বন্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
আমেনা বেগমের অভিযোগ:
আমেনা বেগম বলেন, “আমার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর পর বাড়ি ভাড়া দিয়েই সংসার চালাই। বড় ছেলে ওসমান গনি ও মেজো ছেলে মোহাম্মদ হোসেন—দুজনেই নেশাগ্রস্ত। রিমার্ক কোম্পানির অফিসার শওকত আলী ও ফখরুদ্দিন আমার মানসিকভাবে অক্ষম ছেলেকে টাকার প্রলোভনে ফেলে ভবনসহ জমি লিখে নিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বাড়ি জমি হারিয়ে এখন তিন নাতি-নাতনিকে নিয়ে পথে বসেছি। যতক্ষণ না আমার সম্পত্তি ফেরত পাই, ততক্ষণ কোম্পানির গেটের সামনে বসেই থাকবো।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ:
শান্তিনগরের রেনু মিয়াসহ একাধিক নারী-পুরুষ জানান, “রিমার্ক কোম্পানির কর্মীদের আশপাশে বাড়িভাড়া নিতে নিষেধ করা হয়েছে। বৃষ্টি হলেই কোম্পানির উঁচু জমি থেকে পানি আমাদের নিচু বাড়িগুলোতে ঢুকে পড়ে। বহুবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।”
রিমার্ক কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, “ভুক্তভোগী পরিবারের সব দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ভবন বা জমি কেনা হয়নি। শুধুমাত্র দুই শতাংশ নাল জমি দীর্ঘ আলোচনার পর কেনা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পড়া প্রকৃতির নিয়ম। আমাদের জায়গা উঁচু, তাই নিচু জায়গায় পানি যাওয়া ঠেকানো সম্ভব নয়। এছাড়া কর্মচারীদের আশপাশে ভাড়ায় থাকা নিষেধ করা হয়েছে—এমন অভিযোগও সত্য নয়।”
আমার বার্তা/জেএইচ