ঋণের টাকার যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর চাপ কমাতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
রোববার (২২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পাস পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দুর্বল প্রতিষ্ঠান ও লোকবল সংকট বাজেট বাস্তবায়নে বড় সংকট। এবার পরিচালন ব্যয় ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। আর বাজেট ঘাটতি ৩.৬২ শতাংশ। তবে আমাদের দক্ষতা ভালো বলেই বিদেশি সহায়তা আসছে, যা আগামীতে আরও বাড়বে।
‘সব মিলিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন সহজ হবে। বিদেশি সহায়তাও আসবে’, যোগ করেন তিনি।
মোট আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা অপরিবর্তিত রেখেই প্রস্তাবিত বাজেট পাস হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পাস হওয়া বাজেটে এডিপি ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বাজেট সহায়তা মিলবে ২.৩ বিলিয়ন ডলার। আর জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৫.৫ শতাংশ, সেখানে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে।
কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে তিনি বলেন, সব টাকা কালো টাকা নয়। তবে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ থাকছে না, আইনে নেই।
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, তবে ৩০ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ১০ শতাংশ আয়কর দিলে আয়ের বৈধতা মিলবে।
তিনি আরও জানান, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা ভাতা ৫০০ ও ২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া অবসর ভাতার পরিমাণ ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। আর অবসর ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা খাতে দেখানো হয়নি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, হার্টের রিং ও চোখের লেন্সের ভ্যাট ৫ শতাংশ ছিল। এটা বাতিল করে শূন্য করা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই