বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ২ ব্যক্তির মরদেহ নিজের স্বজন বলে দাবি দুই পরিবারের। আজ রবিবার দুপুর ১১ টার দিকে ঢামেক মর্গের হিমাগারে রাখা সাতটি মরদেহ থেকে দুইটি তাদের স্বজনদের বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম জানান,গতকাল ফেসবুকে দেখতে পান বেশ কয়েকটি লাশ ঢাকা মেডিকেল মর্গে আছে। এরপরে তিনি ঢামেক মর্গে এসে তার স্বামীর লাশ সনাক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, তার স্বামীর নাম কাবিল হোসেন (৫৭)। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। পরিবার নিয়ে মুগদার মানিকনগর এলাকায় থাকতেন। গত ৫ই আগষ্ট বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন কাবিল হোসেন।অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আজ সকালে তারা বাংলামোটরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অফিসে গিয়ে ছাত্রদের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসেন। মর্গের হিমাগারে রাখা সাতটি মরদেহ থেকে একটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন।
অপরদিকে আজ দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে আরেক নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজন শাহিনুর বেগম (খালা) বলেন,যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গত ৫ই আগস্ট বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে নিখোঁজ হয় তার ভাগ্নে মোঃ হাসান (১৯)।সে কাপ্তান বাজার এলাকায় ভগ্নিপতির লাইট বিক্রির দোকানে কাজ করতো। অনেক খুঁজেও তার কোন সন্ধান পাইনি আমরা। পরে আজ দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা সাত জনের মরদেহ থেকে একজনের মরদেহ আমার ভাগ্নের বলে সনাক্ত করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সহকারী রামু জানান, জুলাই আন্দোলনে নিহত সাত জনের মরদেহ আমাদের মর্গের হিমাগারে আছে। আজ দুপুরের দিকে দুটি পরিবার মরদেহ দেখতে চাইলে আমরা সাতটি মরদেহ হিমাগার থেকে বের করে তাদেরকে দেখাই। এদের মধ্যে দুইটি পরিবার দুজনের মরদেহ তাদের স্বজনের বলে দাবি করেছেন। যেহেতু নিহতের নিকট আত্মীয়স্বজন গ্রামের বাড়িতে আছেন তাই,আগামীকাল সকালে দাবিদার ওই দুটি পরিবারের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। এরপর পুলিশ ও সমন্বয়কারী শিক্ষার্থীদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমার বার্তা/জেএইচ/এমরানা