ঢাকার পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল প্রদর্শনী।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান।
গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্প-সংশ্লিষ্ট মেশিনারি, ইয়ার্ন, ফেব্রিকস, অ্যাকসেসরিজ, ডাইস্টাফ, কেমিক্যালস ও নিত্য-নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস সেমস-গ্লোবাল ইউএসএর আয়োজনে টেক্সটাইল সিরিজ অব এক্সিবিশনের বাংলাদেশ সংস্করণ হিসেবে একসঙ্গে তিনটি বড় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেগুলো হলো ২৪তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ২৪তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো (সামার এডিশন), ৪৮তম ডাই-কেম বাংলাদেশ ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব মোখলেস উর বলেন, ‘এই আয়োজন শুধু প্রদর্শনী নয়, বরং বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন। এটি আমাদের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পকে বিশ্বদরবারে আরও শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করবে। একদিকে যেমন দেশের বিভিন্ন খাতে অগ্রযাত্রা তুলে ধরা হবে, অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে উৎসাহ, আত্মবিশ্বাস ও উদ্ভাবনী চিন্তার জন্ম দেবে। উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অভিযাত্রায় এই এক্সপো একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম বলেন, ‘তিনটি প্রদর্শনী বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পের বৃহত্তম ও প্রথম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। বিগত ২৩ বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছর ২৪তম বার এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব প্রদর্শনী ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের জন্য বৃহত্তম মিলনমেলা। প্রদর্শনীগুলো দেশি ও বিদেশি সরবরাহকারী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা হওয়ায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দেশের বাইরে গিয়ে ক্রেতা অনুসন্ধান বা ভিসা জটিলতা পোহাতে হচ্ছে না। বরং অর্থ, শ্রম ও সময়ের সাশ্রয় করে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্প সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ও সরবরাহকারীরা এক ছাদের নিচে একত্র হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।’
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশীয় উদ্যোক্তারা জানান, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে প্রতিযোগি দেশগুলোর সঙ্গে টেক্কা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। শিল্পখাতকে বাঁচিয়ে রাখতে ব্যবসাবান্ধব নীতিসহায়তার দাবি তাদের।
এ সময় রফতানি বাজারে টিকে থাকতে পণ্যের বৈচিত্রকরণের তাগিদ দিয়ে বিসিকের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিনিয়োগের জন্য বিসিকের শিল্পপার্কগুলো প্রস্তুত রয়েছে।
এবারের প্রদর্শনীতে ৩৭ দেশের দেড় হাজারেও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই আয়োজন।
আমার বার্তা/এল/এমই