ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্যদের ফ্যাসিস্টদের সহায়তার দায়ে বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ব্যানার নিউজ বাংলা আয়োজিত ‘কী চাই নতুন বাংলাদেশে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্লজ্জভাবে ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত।’
আওয়ামী লীগ ও তাদের ফ্যাসিজমের দোসরদের বিচার হওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনেকে বলেন ২০০৮ থেকে বা ২০১৪ থেকে ফ্যাসিবাদের সূচনা হয়েছে। আমি বলি ১৯৭২ থেকেই ফ্যাসিবাদীর সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদীর সূচনা হয়েছে যারা যুদ্ধ করে নাই তাদের জাতির জনক বানানো দিয়ে। অথচ যারা যুদ্ধ করেছে, ত্যাগ শিকার করেছে, তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা তরুণদের কাছে চিরঋণী তারা আমাদের হারানো স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।’
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘ইতিহাসকে আসলে যারা ভুলিয়ে দেয় তারা ফ্যাসিবাদ। ইতিহাস মোটেও অতীত নয়। ইতিহাস হচ্ছে বর্তমান। চিন্তার ক্ষেত্রে, ধ্যান ধারণার ক্ষেত্রে, সবক্ষেত্রে আমাদের স্বাধীনতা থাকতে হবে। এদেশের শতকরা ২৬ জন লোক এখনও স্বাক্ষর করতে পারে না। শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বজনীনতা আনতে হবে। শিক্ষা হবে বিনামূল্যে, শিক্ষার জন্য কেন পয়সা লাগবে।’
আলোচনায় অংশ নেন শহীদ পরিবারের সদস্য, ছাত্র ও সরকারের প্রতিনিধিরা। এতে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘জুলাইয়ের গণহত্যায় জড়িত থাকায় আগে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। তারা রাজনীতিতে আসতে পারবে কি, পারবে না সে সিদ্ধান্ত পরে।’
যারা আওয়ামী লীগের বিচার না করে তাদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়, তাদের প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হাসনাত।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন জানান, বিএনপিও আওয়ামী লীগের বিচার চায়। তবে নিষিদ্ধ হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।
যাদের হাতে শহীদদের রক্ত, তাদের বিচার হওয়ার আগে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এসময় গণহত্যা আর অপরাধের বিষয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনাবোধ নেই ও ক্ষমা চাওয়ার লক্ষণও নেই বলে মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।
আমার বার্তা/এমই