স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সংবাদ সম্মেলনগুলোতে একটি ‘বিনিময় মূল্য’ নিশ্চিত করতেই নানারকম তৈলাক্ত প্রশ্ন করা হতো বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, সেই সংবাদ সম্মেলনে হাসিনাকে করা একটি প্রশ্নেই পূর্বাচলে প্লট নিশ্চিতের সম্ভাবনা থাকতো। তেমনি প্রতিটি প্রশ্নেরই একটি নির্দিষ্ট বিনিময় মূল্য থাকতো।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘কী চাই নতুন বাংলাদেশে’ শীর্ষক ফোরাম আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিগত দিনগুলোতে কিছু মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আমি বরবরই খুবই ক্ষুব্ধ। বিগত দিনগুলো আমরা দেখেছি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যখন প্রশ্ন করা হতো, সেই প্রতিটি প্রশ্নেরই একটা বিনিময় মূল্য থাকতো। আমরা দেখেছি তাকে যখন প্রশ্ন করা হতো, সেই প্রশ্নের মধ্য দিয়েই পূর্বাচলে একটি ফ্ল্যাট নিশ্চিত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকতো। সেই প্রশ্নের মধ্যেই আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হওয়ার একটি দরজা উন্মুক্ত হতো। এই বিনিময় মূল্যের বিষয়টি তখন সেখানকার সাংবাদিকদের মধ্যে থাকতো।
তিনি বলেন, তোষণের একটা মনমানসিকতা যে গণমাধ্যমের ছিল, সেটি আমরা চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আর দেখতে চাই না। আপনারা আর গণভবনমুখী হবেন না, আপনারা হবেন জনগণমুখী। পূর্বের অবস্থা যেন চব্বিশের আন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশে না হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই আহ্বায়ক বলেন, আপনারা সরকার যা শুনতে চায় তা নয়, বরং যা শুনতে চায় না সেই বিষয়গুলো তুলে ধরুন। কারণ সরকারের শুনতে চাওয়ার খবর হলো প্রেস রিলিজ। আর যা শুনতে চায় না সে খবরই প্রকৃত সংবাদ।
হাসনাত আরও বলেন, আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ ও শিরোনাম ডিজিএফআইয়ের ফোনকলে পরিবর্তন হয়ে গেছে। সে সময় আমাদের বক্তব্য টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রচার করেনি। উল্টো গণভবনের নির্দেশনায় ও ডিজিএফআইয়ের প্রেসক্রিপশনে সংবাদ প্রচার হয়েছে।
তিনি এ সময় গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে চব্বিশের আন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশে সঠিক সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের আহ্বান জানান।
আমার বার্তা/এমই