দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ২৩টি কোম্পানির ১০২ কোটি ৮৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৯৫৭ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব জমির মূল্য ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ১৮৮ টাকা ধরা হয়েছে।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবাল এসব অস্থাবর-স্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ ও জব্দের আবেদন করেন।
শেয়ার ফ্রিজের আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকের ৭ সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের নামে যৌথ মূলধনি কোম্পানি এবং ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে কোম্পানির শেয়ারের মালিকানার তথ্য পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে উদ্ভূত মুনাফা অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
জমি ক্রোকের আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তিগুলো হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা করতে পারলে অত্র অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। ফলে উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তিগুলো আদালত কর্তৃক ক্রোকের আদেশ প্রদান না করা হলে অভিযোগ নিষ্পত্তির পূর্বেই স্থাবর সম্পত্তিগুলো অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তিগুলো মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ১৪ মোতাবেক ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে গত ৫ মার্চ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৩৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
আমার বার্তা/এমই