প্রত্যেক প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আর মানুষের জীবনে ভালোবাসা ও স্মৃতি গভীরভাবে জড়িয়ে থাকে। কেউ কেউ প্রিয়জন হারানোর পর তাদের স্মৃতি রেখে দিতে মৃত মানুষের ছবি ঘরে টানিয়ে রাখেন।
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, মৃত মানুষের প্রিন্ট করা বা আঁকা ছবি ঘরে টানিয়ে রাখা সম্পূর্ণ হারাম। এ বিষয়ে কোনো আলেমের দ্বিমত নেই— এটি স্পষ্টভাবে নাজায়েজ। তাই জীবিত বা মৃত, কারোর ছবিই ঘরে টানানো বৈধ নয়। এমন করা মারাত্মক গোনাহের কাজ।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (তাবুক যুদ্ধ) থেকে ফিরে এসেছেন। আমি আমার ঘরে পাতলা কাপড়ের পর্দা লাগিয়েছিলাম। তাতে ছিল (প্রাণীর) অনেকগুলো ছবি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন এটা দেখলেন, তখন তা ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেন, ‘কেয়ামতের দিন সে সব মানুষের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে, যারা আল্লাহর সৃষ্টির (প্রাণীর) অনুরূপ তৈরি করবে।’ (বুখারি)
আরেক হাদিসে এসেছে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) কাবাঘরে প্রবেশ করে ইবরাহিম (আ.) ও মরিয়ম (আ.)-এর ছবি দেখেন। তখন তিনি বলেন, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকবে, সে ঘরে ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না। (বোখারি: ৩৩৫১)
হজরত ইবনে মুকাতিল (রহ.) আবু তালহা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ঘরে কুকুর থাকে আর প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না।’ (বুখারি)
ইসলামি শরিয়তের নীতিমালা অনুযায়ী, মানুষ বা প্রাণীর ছবি ঘরে টানানো জায়েজ নয়। তাই এ ধরনের ছবি নামিয়ে ফেলা অবশ্য কর্তব্য।
আমার বার্তা/এল/এমই