লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার হিসেবে এক বিরল কীর্তি গড়েছেন কাগিসো রাবাদা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েই এই কীর্তি গড়েছেন ৩০ বছর বয়সি এই পেসার।
লর্ডসের ঐতিহ্য অনুযায়ী, টেস্টে শতরান কিংবা ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেই খেলোয়াড়ের নাম খোদাই হয় ঐতিহাসিক ‘অনার্স বোর্ড’-এ। এই বোর্ড দুটি—একটি ঘরোয়া (হোম) ড্রেসিংরুমের জন্য, অন্যটি বিদেশি (অ্যাওয়ে) ড্রেসিংরুমের জন্য সংরক্ষিত।
এর আগে ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বিদেশি ড্রেসিংরুমের অনার্স বোর্ডে জায়গা করে নিয়েছিলেন রাবাদা। এবার লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘হোম’ দল হিসেবে বিবেচনা করায়, ৫১ রানে ৫ উইকেটের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স তাকে ঘরোয়া ড্রেসিংরুমের বোর্ডেও স্থান করে দিয়েছে।
একমাত্র প্রোটিয়া বোলার হিসেবে এই বিরল কীর্তি গড়েছেন রাবাদা। তবে রাবাদা এই তালিকায় একা নন। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজও এই কীর্তি গড়েছেন। গ্রিনিজ ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যথাক্রমে ২১৪ অপরাজিত ও ১০৩ রানের ইনিংস খেলে বিদেশি বোর্ডে নাম লেখান। পরে ১৯৮৭ সালে এমসিসির (মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব) হয়ে ১২২ রান করে হোম বোর্ডেও জায়গা করে নেন।
ম্যাচ চলাকালীন নিয়ম অনুসারে রাবাদার নাম হাতে লেখা স্টিকি টেপে লিখে বোর্ডে লাগানো হয়। শিগগিরই তা সোনালি অক্ষরে স্থায়ীভাবে খোদাই করা হবে। ২০১৮ সালে লর্ডসের বোর্ড সংস্কারের পর নিরপেক্ষ ম্যাচগুলোর জন্য আলাদা তালিকা না থাকায়, এই কীর্তি স্থায়ীভাবেই ইতিহাসে যুক্ত থাকবে।
এদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৫ উইকেট নিয়ে অ্যালেন ডোনাল্ডকে পেছনে ফেলেছেন রাবাদা। টেস্ট ক্রিকেটে রাবাদা এখন দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। টেস্টে এখন তার উইকেট ৩৩২টি। অ্যালেন ডোনাল্ডের উইকেট ছিল ৩৩০টি। রাবাদার উপরে আছে এখন শুধু এনটিনি (৩৯০), শন পলক (৪২১) এবং ডেল স্টেইন (৪৩৯)।
আমার বার্তা/এল/এমই