মাতৃত্বের স্বাদ প্রতিটি নারী জীবনে ঘটে যাওয়া অন্যতম সেরা রোমাঞ্চকর অনুভুতি। তবে, সন্তান জন্মদানের পর মায়েদের আকস্মিক শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়। এ সময় মায়ের শরীর দূর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে এবং প্রায়শই হাড়, মাংশপেশি, অস্থিসন্ধি, স্নায়ু সংক্রান্ত জটিলতা পরিলক্ষিত হয়। যথাযথ চিকিৎসা নিলে, সঠিক যত্ন এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেক জটিলতা এড়ানো সম্ভব। এইক্ষেত্রে, রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন একটি স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি। আর মায়ের শরীর সুস্থ হলে শিশু সঠিক পরিচর্যা পায় এবং সুস্থ ও সবল থাকে ।
প্রসবের পর ৬ সপ্তাহ (৪২ দিন) পর্যন্ত সাধারণত যে সকল সমস্যায় পুনর্বাসন চিকিৎসা আলোকপাত করা হয়, সেগুলো হলো-
কারণঃ
প্রসব পরবর্তী রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসার উদ্দেশ্য:
প্রসব পরবর্তী পুনর্বাসন চিকিৎসা-
চিকিৎসক রোগ নির্ণয়ের জন্য অনেকটাই রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার উপর নির্ভরশীল থাকেন। তবে, সামান্য প্যাথলোজিক্যাল পরীক্ষার প্রয়োজনও হতে পারে।
রোগীর কাউন্সেলিং উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ঔষধঃ
চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক স্বল্প মাত্রার বেদনাশক ঔষধ, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসূল, ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সহ অন্যান্য ঔষধ খাওয়া যাবে।
ফিজিক্যাল এজেন্টঃ
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, ব্যথার ধরন ও সময় মোতাবেক ব্যথার স্থানে ঠান্ডা বা হালকা গরম/কুসুম গরম পানির সেঁক অথবা হালকা ম্যাসাজ করা যাবে। প্রয়োজনে, অন্যান্য সুপারফিসিয়াল ফিজিক্যাল এজেন্ট ব্যবহার করা যাবে।
শারীরিক অনুশীলনঃ
প্রসব পরবর্তী সময়ে সক্রিয় মায়েদের শরীরিক ও মানসিকভাবে দ্রুত খাপ খাইয়ে নেয়া সহজ হয়। তবে, শারীরিক অনুশীলন নির্ভর করে মায়ের প্রসব পরবর্তী অবস্থার উপর। উল্লেখ্য, প্রসবের ধরন ও উপসর্গ অনুযায়ী ব্যায়াম, ব্যায়াম শুরু করার সময় নির্বাচন করতে হয়। কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক বাচ্চার জন্মের পরে মৃদু শারীরিক কার্যকলাপ দিয়ে শুরু করুন। আপনি নিয়মিত কয়েক মিনিট করে হাঁটা শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে প্রতি সপ্তাহে ৫-৭ দিন প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত হাঁটতে পারেন।
ব্যায়ামের উপকারিতাঃ
খাবারঃ
দৈনন্দিন কাজঃ
সতর্কতা
লেখক : ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ এন্ড হাসপাতাল।