দিনদিন বিশ্বজুড়ে বাড়ছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা। ২০শে জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। উদ্বাস্তু বা শরণার্থীদের অধিকার, তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা, নিপীড়ন, অত্যাচার ও দুর্দশার কাহিনি স্মরণে ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিনটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দিবসটি নানা আঙ্গিকে পালন করা হয়।
জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) ২০২৩ সালের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৭৭ জনে একজন শরণার্থী। চলমান যুদ্ধ, সংঘাত ও জলবায়ু সংকটে বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে মনে করে ইউএনএইচসিআর।
গত এক দশক ধরে প্রতি বছর শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে সংস্থাটি যুদ্ধ, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, চরমপন্থা, দারিদ্র্য, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়কে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। মিয়ানমারে সামরিক নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গারা রাখাইন থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিতে শুরু করে। দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিঙ্গা শিবিরে প্রতিদিন প্রায় ৯৫টি শিশুর জন্ম হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ থেকে ১৩ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। শিবিরে ৫২ থেকে ৫৫ শতাংশ নারী-শিশু রয়েছে। শরণার্থীদের মধ্যে নারী-শিশুদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি।
আমার বার্তা/এল/এমই