পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) হঠাৎ করেই আগমন করেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সফরে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
বুধবার (২১ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম জানতে পারেন, উপদেষ্টা পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পরিদর্শন শেষে লেবুখালী হয়ে বরিশালের পথে রয়েছেন। খবর পেয়ে উপাচার্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি উপস্থিত হন পবিপ্রবিতে।
উপাচার্যের সঙ্গে উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাতে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্যাম্পাস সংস্কৃতি গড়ে তোলার বিষয় উঠে আসে। উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হতে যাওয়া ‘মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওশেনোগ্রাফি’ বিভাগকে সময়োপযোগী ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
সফরকালে তিনি একাডেমিক ভবন, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, নির্মাণাধীন ১০ তলা ছাত্রীনিবাস, ছাত্রাবাস, ‘লাল কমল’ ও ‘নীল কমল’ লেক এবং চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। লেকের উন্নয়নে গাইড ওয়াল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা উপাচার্য তুলে ধরেন। একই সঙ্গে শত শত গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা ভেঙে যাতায়াতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে—এমন পরিস্থিতি এড়াতে ইউজিসির মাধ্যমে জরুরি অর্থ বরাদ্দের জন্য তিনি উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি অপূর্ব একটি মুহূর্ত ছিল। এমন একজন মনীষীর পদচারণা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তিনি যেভাবে মনোযোগ দিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলেন এবং পরামর্শ দিলেন, তা আমাদের আগামী পথচলাকে করবে আরো দৃঢ় ও উদ্যমী।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এই অঞ্চল শিক্ষার বিস্তারে এক সম্ভাবনার ভাণ্ডার। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি অভিভূত। এখানে উচ্চশিক্ষার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রান্তিক বলেই কেউ পিছিয়ে থাকবে না—এই বিশ্বাস থেকেই আমাদের কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
আমার বার্তা/জান্নাতীন নাঈম জীবন/এমই